বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। করোনা টিকা ভাইরাসে লাগাম টানলেও টিকা নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। গুঞ্জন উঠেছিল করোনা টিকার জেরে বিশ্বজুড়ে অল্প বয়সীদের হৃদরোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছে। যদিও এই সব গল্প কথা খারিজ করে নয়া তথ্য প্রকাশ করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। তাঁদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, “করোনা যেমন বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে, তেমনই করোনার টিকা হাজার হাজার কম বয়সির আচমকা মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়েছে।”
২০২১ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয় ICMR-এর তরফে। সেই গবেষণার মাধ্যমেই প্রকাশ্যে আসে, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের আচমকা মৃত্যু হচ্ছে। এঁদের কোনও কোমর্বিডিটি ছিল না। সকলেই সুস্থ ছিলেন। কী কারণে তাঁদের মৃত্যু হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি। এর পরই দেখা যায়, ওই বয়সিদের মধ্যে যাঁরা কোভিডের টিকা নিয়েছেন, তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি কম। এর পরই আইসিএমআর জানায়, কোভিড টিকার (Corona Vaccine) যে কোনও একটি ডোজ নিলে, তা ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি অতিরিক্ত মাত্রায় কমিয়ে দিতে পারে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের মধ্যে যারা করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনা কমেছে। কিন্তু যারা নেয়নি তাঁদের মধ্যে হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি।
আইসিএমআরের এই রিপোর্টের কথা এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও জানিয়েছিলেন। গুজরাটে নবরাত্রি উৎসবের সময় বেশ কয়েকজনের আচমকা মৃত্যুর পরে তিনি এই রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, কমবয়সিদের হঠাৎ মৃত্যুর পিছনে করোনা টিকা না নেওয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলি হল, পরিবারে কম বয়সে মৃত্যুর ইতিহাস, মৃত্যুর ৪৮ ঘণ্টা আগে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত মদ্যপান ও মাদকসেবন।