তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ক্ষেত্রে লোকসভার এথিক্স কমিটির ব্যপক তাড়াহুড়ো থাকলেও, বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির ক্ষেত্রে ছবিটা কিছুটা ভিন্ন। সংসদে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরিকে তলব করল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। যদিও এই সাংসদের ক্ষেত্রে বেশ ধীরে চলো নীতি নিয়েছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ৭ ডিসেম্বর তলব করা হয়েছে রমেশ বিধুরিকে। ওই একই দিনে মৌখিক সাক্ষ্য দিতে ডাকা হয়েছে বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে।
সংসদের অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় অশালীন মন্তব্য করেন বিজেপি (BJP) সাংসদ বিধুরি। অভিযোগ, চন্দ্রযান নিয়ে আলোচনার সময় বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির (Danish Ali) উদ্দেশে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেন তিনি। বারবার তাঁকে থামতে বলা হলেও তিনি থামেননি। দানিশ আলিকে ‘আতঙ্কবাদী’ বলেও তোপ দাগেন রমেশ বিধুরি। যার জেরে বিধুরির বিরুদ্ধে ২৩ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন দানিশ আলি। যার জেরে বিধুরিকে প্রথম তলব করা হয় ১০ অক্টোবর। অর্থাৎ ২ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও সেদিন উপস্থিত হননি ওই সাংসদ। কারণ দেখান ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের কাজে ব্যস্ত তিনি। তারপর থেকে টানা দেড়মাস হাত-পা গুটিয়ে বসে ছিল সংসদীয় কমিটি। ভোট প্রক্রিয়া মেটার পর এবার ৭ ডিসেম্বর তলব করা হল রমেশকে।
অর্থাৎ অভিযোগের পর সব মিলিয়ে আড়াই মাস সময় দেওয়া হল বিধুরিকে। ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিধুরিকে এত সময় দেওয়া হলেও মহুয়া মৈত্রের ক্ষেত্রে কিন্তু অতি তৎপরতা দেখা গিয়েছে এথিক্স কমিটির। তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠতেই পদক্ষেপ করে কমিটি। হাজিরা দেওয়ার জন্য মহুয়া বাড়তি সময় চাইলেও তা তিনি পাননি। এই ঘটনায় দ্বিচারিতার অভিযোগ উঠছে সংসদের কমিটির বিরুদ্ধে।