কাতারের মধ্যস্ততায় আমরা ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি। শীর্ষ হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার এহেন মন্তব্যের মাঝেই জানা গেল গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ঘিরে ফেলেছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল সেনা। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭০ জনের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের চুক্তি ক্রমশ এগোচ্ছে, হামাসের তরফে এই দাবি করার পর তড়িঘড়ি জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ঘিরে ফেলা হয় ইজরায়েলের তরফে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের দিক থেকে কোনও হামলা এলে, তা প্রতিরোধ করতে ইজরায়েল প্রস্তুত। এরইমাঝে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে খবর এলো গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ইজরায়েল সেনা। প্যালেস্টাইন এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের দুটি বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজা প্রশাসন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের এক স্কুলেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল সেনা। সেখানেও অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজা প্রশাসন।
এদিকে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর এখন ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি চাইছে হামাস। সম্প্রতি কাতারে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। কাতারের বৈঠকের পর হামাস প্রধানের তরফে দাবি করা হয়, ইজরায়েলের সঙ্গে ক্রমাগত তারা চুক্তির পথে এগোতে শুরু করেছে। তবে সম্ভাব্য এই চুক্তির শর্ত সম্পর্কে আর কোনো তথ্য দেননি তিনি। এদিকে হামাস কর্মকর্তা ইসাত এল রেশিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা টিভিকে বলেন, ‘কত দিন ধরে যুদ্ধ বিরতি চালু থাকবে, তা নিয়ে এখন দর-কষাকষি চলছে। এ ছাড়া, গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো এবং হামাসের হাতে বন্দী ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইজরায়েলে আটক প্যালেস্টানি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’ এহেন পরিস্থিতির মাঝেও গাজায় লাগাতার হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী।