রাত পোহালেই শিল্প সম্মেলন, শুভেন্দুর মি.থ্যাচারের মুখোশ খুললেন কুণাল

0
2

রাত পোহালেই শুরু হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। মঙ্গলবার কলকাতায় দু-দিনের শিল্পসম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাংলা দেখবে নক্ষত্র সমাবেশ। আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের উদ্বোধন করবেন দুপুর ২:৪০ মিনিটে। ঠিক ৩টেয় বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন।

এ-বছর এই সম্মেলনের ফোকাস ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। ২৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। থাকবেন বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও। সব থেকে বড় প্রতিনিধি দল আসবে ব্রিটেন থেকে। এবারে ব্রিটেন থেকে আসছেন ৫৫ জন প্রতিনিধি এবং স্পেন থেকে ৮ জন। এ-ছাড়াও দেশ-বিদেশের বহু শিল্পপতি এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন বলে শিল্প দফতর সূত্রে জানা গেছে। রিলায়েন্স গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি, হিরানন্দানি গ্রুপের কর্ণধার নিরঞ্জন হিরানন্দানি, আইটিসির চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী, জেএসডব্লিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দল, আর পি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, চ্যাটার্জি গ্রুপের চেয়ারম্যান পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়-সহ দেশের প্রথম সারির ৩৫ জন শিল্পপতি উদ্বোধনী মঞ্চ অলঙ্কৃত করবেন। ইউরোপ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও একঝাঁক শিল্পপতি বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দেবেন। আদানি গোষ্ঠীকেও সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বুধবার বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে। অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য গঙ্গা ভ্রমণের পাশাপাশি আলিপুর জেল মিউজিয়াম ঘুরিয়ে দেখানো হবে। বাণিজ্য সম্মেলনে আগত দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের সামনে বাংলায় বিনিয়োগের জন্য বেশ কয়েকটি নতুন ক্ষেত্রকে তুলে ধরা হবে। রাজ্যের প্রস্তাবিত পুরুলিয়ায় ৪ হাজার একরের জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী, ডানকুনি-হলদিয়া, ডানকুনি-কল্যাণী, ডানকুনি-রঘুনাথপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ করিডর এবং নিউ টাউনে বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব এর মধ্যে অন্যতম। এ-ছাড়াও কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উপর বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে উৎসবের কলকাতার রাজপথ নতুন করে সেজে উঠছে। রাস্তার ডিভাইডারগুলিতে রঙ করার কাজ চলছে, খারাপ হয়ে যাওয়া রাস্তা মেরামতের কাজও চলছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। অতিথিদের স্বাগত জানাতে বিশেষ পোস্টারও লাগানো হচ্ছে। আলোকস্তম্ভগুলিকে নীল-সাদা আলোতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।

অন্যদিকে, বিজনেস সামিট নিয়ে শুভেন্দুর অধিকারীর
মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ,
“ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন বিরোধী দলনেতা। শিল্পে সর্বস্তরের সাফল্য আসছে বাংলায়। বিপুল লগ্নি এসেছে তাই কর্মসংস্থান হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন তো-এর সমর্থনে বলতেন। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে বাংলার শিল্প সম্ভাবনা ভালো। বাংলার অবদানের জন্য, ভারতের কৃতিত্ব বাড়ছে। সারা দেশের জিডিপির তুলনায় বাংলার জিডিপি এগিয়ে। বাংলার জিডিপি ১২.৬% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা জাতীয় গড়কে ছাড়িয়ে গেছে।”

বিজনেস সামিট উইন্টার কার্নিভাল বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা কুণাল ঘোষ বকেন, “উনি হাস্যকর কথা বলছেন। কার্নিভাল হল প্রাণের উৎসব। আর বিজেপি শীতকালে সার্কাস করে। শিল্প সম্মেলন বলুন বা শিল্প উৎসব যাই বলুক না কেন। এটা বিজেপির সার্কাস নয়।”