‘রেফার’ রো.গে রো.গী মৃ.ত্যু! ৪ হাসপাতাল ঘুরে ব্য.র্থ বাঁচার ল.ড়াই

0
3

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে গুরুতর অবস্থায় আসা রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে রেফার করা যাবে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথা অমান্য করে রাজ্যের দুই জেলায় রেফার সিনড্রোম। হুগলি থেকে কলকাতা, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে মাথায় আঘাত পাওয়া রোগীকে নিয়ে ছুটে চললেন পরিজনরা। সকলেই অন্যজনকে রেফার করে দিল। কিন্তু শেষমেষ বাঁচানো গেল না হরিপালের (Haripal) বাসিন্দা বিকাশ দুলেকে (Bikash Dule)। মৃত্যুর দায় কার প্রশ্ন তুলছেন রোগীর আত্মীয়রা।

কালীপুজোর রাতে মাথায় আঘাত পান হুগলির বাসিন্দা বিকাশ দুলে । দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়া হাসপাতালে (Chinsura Hospital)। সেখান থেকে রেফার করা হয় কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital)। সেখানে গিয়ে ভর্তি করাতে গেলে বেড না থাকার কারণে এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) কথা বলা হয়। অসুস্থ রোগীকে নিয়ে পিজি হাসপাতালে এলে রোগের আত্মীয়দের বলা হয় এই মুহূর্তে সেখানে ভর্তি করা যাবে না। অতএব তাঁদের বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে (Bangur Institute of Neuroscience) রেফার করা হয়। কিন্তু এত লড়াই অসুস্থ বিকাশের পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। বাঙুর নিউরোসায়েন্সের আউটডোরেই তাঁর মৃত্যু হয়। শোকস্তব্ধ পরিবার একটাই প্রশ্ন করছে, এই মৃত্যুর দেয় কার? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বারবার করে নির্দেশ দিচ্ছেন যে কোনভাবেই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ফেরানো যাবে না, আর এমন ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে দাঁড়িয়ে মুষ্টিমেয় মানুষের চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মাশুল দিতে হচ্ছে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা যাঁদের স্বভাব সেই বিরোধীরা ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে। কিন্তু যিনি চলে গেছেন তাঁকে তো আর ফেরানো যাবে না। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই প্রশাসন কড়া পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা করছে বলে, অসমর্থিত সূত্রের খবর।