আমি গুন্ডা, অষ্টম শ্রেণীতে তিনবার ফেল: পড়ুয়াদের স্বগর্বে জানালেন বিজেপির ব্রিজ ভূষণ

0
1

বিজেপি সাংসদ তথা ভারতীয় কুস্তি বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান ব্রিজভূষণ শরন সিং এবার নিজেকে ‘সবচেয়ে বড় গুন্ডা’ বলে দাবি করলেন। শুধু তাই নয়, স্কুলের পড়ুয়াদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানালেন, অষ্টম শ্রেণীতে ৩ বার ফেল করেছেন তিনি। এরপর অন্য এক পড়ুয়াকে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন, যদি সে সে তাঁর পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তর না লিখে দেয়। চতুর্থবার এভাবেই পরীক্ষায় পাশ করেন তিনি। স্কুলের অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের সামনে বিজেপি সাংসদ ব্রীজ ভূষণের এমন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে মহিলাদের যৌন নির্যাতনকারী একজন ধর্ষক, খুনির কাছ থেকে এর বেশি আর কি আশা করা যেতে পারে?

যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় এক স্কুলের অনুষ্ঠানে ব্রিজ ভূষণকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমি ছোট থেকেই গুন্ডা ছিলাম। ভীষণ মারামারি করতাম। অষ্টম শ্রেণীতে তিনবার ফেল করি। চতুর্থবার পরীক্ষা দেওয়ার সময় ইংরেজি পরীক্ষায় রীতিমত বিপদে পড়ি। এরপর পাশে বসে থাকা এক পড়ুয়াকে আমি আমার উত্তরপত্র লিখে দিতে বলি। সে লিখতে রাজি না হওয়া আমি তাকে হুমকি দেই যদি সে না লেখে তবে স্কুলের বাইরে বেরোলে মেরে হাত-পা ভেঙে দেবো। তখন বাধ্য হয়েছে আমার উত্তরপত্র লেখে এবং আমি পাশ করি।” একজন বিজেপি সাংসদ পড়ুয়াদের সামনে নিজের কুকীর্তি এভাবে গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করায় স্বাভাবিকভাবেই ব্রিজ ভূষণের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এই ঘটনার নিন্দা করা করে ব্রিজ ভূষণের পাশাপাশি বিজেপি দলকে আক্রমণ শানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। টুইটে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, “বিজেপি সাংসদ ব্রীজ ভূষণ একজন পড়ুয়াকে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নিজের উত্তরপত্র লিখেছেন সে কথা আবার গর্ব করে ঘোষণা করেছেন স্কুলের অনুষ্ঠানে। একজন যৌন নির্যাতনকারী, খুনি, ধর্ষকের মুখ থেকে এই ধরনের কথা বেরোবে তাতে আর আশ্চর্যের কি আছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল এই ধরনের ব্যক্তিদের বিজেপি শুধু দলেই নেয় না তাদের ক্ষমতা ও পদ দিয়ে তোষামোদ করে।

উল্লেখ্য, দেশের মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ সিং। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান থাকাকালীন একের পর এক কুস্তিগীরকে যৌন হেনস্থা করেন তিনি। লাগাতার এই ঘটনায় ওই কুস্তিগীরের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন দেশের পদকজয়ী কুস্তিবিদরা। প্রবল চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে বীজ ভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তবে গ্রেফতার তো দূরের কথা, ওই বিজেপি সংসদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন।