‘আমাকে বাঁচতে দিন’, ভার্চুয়াল শুনানিতে কা.তর আর্জি জ্যোতিপ্রিয়র

0
1

গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অসুস্থতার কথা বারবার বলেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেলে যাওয়ার সময়েও একই কথা বলেছেন তিনি। তাঁর শরীরের বাঁদিকটা ক্রমশ প্যারালিসিস হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।জানা গিয়েছে, সেই অসুস্থতার কারণেই আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে সশরীরে নয়, ভার্চুয়ালি হাজিরা দিলেন জ্যোতিপ্রিয়। তিন দিনের জেল হেফাজতের পর এদিন আদালতে পেশ করা হয় রেশন মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের বনমন্ত্রীকে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে বালুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করছে জেল কর্তৃপক্ষ, যা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

ভার্চুয়াল শুনানিতে কাতর আর্জি জানান জ্যোতিপ্রিয়। বলেন, “স্যার, আমাকে বাঁচতে দিন।” তাকে বিচারক এদিন প্রশ্ন করেন, “কী সমস্যা হচ্ছে আপনার?” উত্তরে ধৃত মন্ত্রী বিস্তারিতভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানান। বলেন, “আমি আইনজীবী। কলকাতা হাই কোর্ট ও ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সদস্য। পায়ের সমস্যা হচ্ছে। সাড়ে তিনশোরও বেশি সুগার। হাত-পা কাজ করছে না।” তাঁকে কার্যত থামিয়ে দিয়ে বিচারক বলেন, “আপনি নিজেকে যখন আইনজীবী হিসেবে দাবি করছেন, তখন নিশ্চয়ই জেল এবং আদালতের এক্তিয়ার সম্পর্কে অবগত। একজন আইনজীবী হলে আপনার তা বুঝে যাওয়া উচিত।”

তার আইনজীবীও শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, উনি সুস্থ নন। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত। সুপারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানান বিচারক। সেলে খাট এবং টেবিল দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। যদিও বিচারক বলেন, সেটা জেলের এক্তিয়ার।এদিকে, জ্যোতিপ্রিয়কে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে জেরার অনুমতি চায় ইডি। এখনও এ বিষয়ে কিছুই জানাননি বিচারক।

প্রসঙ্গত, গ্রেফতার হওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মন্ত্রী। আদালতে সংজ্ঞা হারানোর পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসা শেষ হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইডি হেফাজতে। এরপর সেই ইডি হেফাজতের শেষের দিকে, জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেন, তাঁর শরীরের বাঁ দিকটা প্যারালিসিস হয়ে যাচ্ছে। পরে আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন তিনি।