আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার দায়েরের অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হল। মামলায় দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। আজই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
হাই কোর্টে মৃত অশোকের দেহ কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করানোর আর্জি জানানো হয়েছে। হাইকোর্ট এখন এই ইস্যুতে কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে বন্দি মুক্তি কমিটি। তাদের তরফে বিবৃতি জারি করা দাবি করা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী অশোক কুমার সিংয়ের হত্যার তদন্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে বরখাস্ত করতে হবে। দোষীদের আইন অনুযায়ী সাজা দিতে হবে এবং নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, চুরি হওয়া মোবাইল ব্যবহারের কারণে অশোককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কোনওকিছু না জেনেই সেই মোবাইল অশোক কিনেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় কোনও প্রমাণ ছাড়াই অশোককে মারধর করা হয়। যদিও যাবতীয় দাবি অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের দাবি, লকআপের মধ্যেই মাথা ঘুরে পড়ে যান অশোক। তখনই তাঁর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হতে শুরু হয় এবং লকআপের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।





































































































































