নিয়োগ মামলা থেকে একের পর এক জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায় গিয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। আদালতে নিজেদের মামলা শক্তপোক্ত করতে ২৩ জন নতুন ল-অফিসার বা আইন আধিকারিককে নিয়োগ করছে সরকার। এগুলি সব নতুন পদ। ঠিক হয়েছে, এখন সরকারের অন্য দফতরে থাকা আইন-আধিকারিকদের মধ্যে থেকে বদলি এবং ডেপুটেশনের ভিত্তিতে ওই ২৩ জনকে নিয়োগ করা হবে।
নবান্ন সূত্রের খবর, এই ২৩ জনকে নিয়োগ করা হচ্ছে কৃষি বিপণন, ভুমি ও ভূমি রাজস্ব, কারিগরি শিক্ষা, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেট, জলপাইগুড়ি-বর্ধমান-মেদিনীপুর ডিভিশনাল কমিশনারের কার্যালয়, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার, আসানসোল দুর্গাপুর-হাওড়া-বিধাননগর-শিলিগুড়ি-চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলাশাসকের কার্যালয়ে।
অভিজ্ঞ আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, নজর রাখা হয়েছে ফৌজদারি আইনে পারদর্শী আইনি পরামর্শদাতা নিয়োগে। কারণ, পুলিশের যে মামলাগুলিতে রাজ্য ধাক্কা খাচ্ছে, সেগুলি প্রধানত ফৌজদারি। আবার বিভিন্ন দফতরের যে প্রয়োজন, তাতেও ফৌজদারি আইন জানা পরামর্শদাতাদের চাহিদা বাড়ছে। তা ছাড়া জমি আইন, পুর আইনে পারদর্শী আইনি পরামর্শদাতাদের নিয়োগে নজর রাখা হচ্ছে।আপাতত সরকারের অন্য দফতরে থাকা আইন-আধিকারিকদের মধ্যে থেকে বদলি এবং ডেপুটেশনের ভিত্তিতে ওই ২৩ জনকে নিয়োগ করা হবে।
রাজ্য প্রশাসনের একাংশের মতে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আইনজীবীদের সমন্বয় বাড়াতে চাইছে রাজ্য।তাঁদের মতে, মামলা চলাকালীন আদালতে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রেও সমন্বয়ের অভাবে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। সেই সমন্বয় বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।