তৃণমূল নেতা খুনের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এখন থমথমে। তারই মাঝে ফের খুনের হুমকি পেলেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। এই ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক।
অভিযোগ, মঙ্গলবার যখন শওকত মোল্লা যখন ভাঙড়ে যাচ্ছিলেন, সেইসময় তাঁকে ফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। কে বা কারা বিধায়ককে খুনের হুমকি দিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনায় বিধায়ক ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
ওদিকে তদন্তে উঠে এসেছে, জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন মোল্লাকে খুনের জন্য ১ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে কে সেই সুপারি দিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, খুনের আগে রেইকিও করে দুষ্কৃতীরা। ৪ দিন ধরে গতিবিধিতে নজর রাখছিল। তারপরই বাড়ির কাছে পঞ্চায়েত সদস্য ওই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এলাকার তৃণমূল সংগঠনের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বও সামলাতেন সইফুদ্দিন৷ এলাকায় সইফুদ্দিন যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন বলেও দাবি তৃণমূলের। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান।
সোমবার জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা তোপ দেগে বলেন, “আমাদের জয়নগরের বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি সাইফুদ্দিন লস্করকে বিজেপি ও সিপিএম আশ্রিত সমাজ বিরোধীরা গুলি করে খুন করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিরোধী দলগুলোর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। আর সেই কারণে এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের একের পর এক খুন করছে।”