বন্ধ হোক বাকস্বাধীনতার নামে হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা, রাষ্ট্রসংঘে কানাডাকে তোপ ভারতের

0
1

খলিস্তানি ইস্যুতে ভারত(India) ও কানাডার(Canada) সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। গত কয়েকমাসে একাধিকবার কানাডার হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও খলিস্তানি স্লোগান লেখার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে তাদের মদত দিচ্ছে কানাডা সরকার। এই ইস্যুতেই এবার রাষ্ট্রসংঘে(United Nations) কানাডাকে কড়া সুরে আক্রমণ শানালও ভারত। কড়া সুরে জানানো হল বাকস্বাধীনকে অপব্যবহার করে হিংসা, ধর্মস্থানে হামলা বা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো যাবে না। এমন ঘটনা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গড়তে হবে। এবিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে কানাডাকে বেশ কিছু পদক্ষেপ করার সুপারিশ দিয়েছে ভারত।

গত শনিবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রিভিউ বৈঠকে ভারতের পাশাপাশি হাজির ছিল কানাডা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা-সহ একাধিক দেশ। মানব পাচার আটকানো নিয়ে কানাডার রিপোর্ট পেশ করলে তাকে স্বাগত জানায় ভারত। কাউন্সিলে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি কে এস মহম্মদ হুসেন বলেন, গঠনমূলক আলোচনার আবহে কানাডাকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সুপারিশ করতে চায় ভার‍ত। মূলত দুটি বিষয় তুলে ধরা হয় এই সুপারিশে। প্রথমত, বাকস্বাধীনতার নামে হিংসা ছড়ানো এবং উগ্রপন্থার প্রচার করা, এই দুটি বিষয় রুখতে কানাডার অন্দরেই বিশেষ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, উপাসনাস্থল ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থামাতে হবে। ঘৃণাভাষণ থামাতে কড়া আইন আনতে হবে কানাডাকে। যদিও এবিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি কানাডা সরকার।

উল্লেখ্য, চলইতি বছরের শুরু থেকে কানাডার নানান জায়গায় লাগাতার হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে ভারত বিরোধী প্রচার। ভারত এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে এটিকে কানাডার মানুষের বাকস্বাধীনতা বলে দাবি করেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরইমাঝে সেখানে এক খালিস্তানি নেতার মৃত্যুতে ভারতের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে পার্লামেন্টে ট্রুডো জানান, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিক খুনে ভারতের হাত রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এখনও। এই আবহের মধ্যেই কানাডাকে বার্তা দিল ভারত।