মধ্যপ্রদেশে ১৯ শতাংশ প্রার্থী ফৌ.জদারি মা.মলায় অ.ভিযুক্ত! শীর্ষে বিজেপি প্রার্থী

0
3

আগামী ১৭ নভেম্বর ২৩০ টি আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এই নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশে ১৯ শতাংশ প্রার্থী ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত, শীর্ষে বিজেপি প্রার্থী।

অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্টে এও বলা হয়েছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থীদের থেকে এ বছরে নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-এর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৫৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৭২ জন অর্থাৎ উনিশ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে একই প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারী মামলা । বহু মামলা থাকা প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র পাটোয়া। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১৭৫ টি ।

রিপোর্ট অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ২৯১ জন অর্থাৎ ১১ শতাংশ প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন। ফৌজদারি মামলায় শীর্ষে থাকা বিজেপি প্রার্থীর পরই রয়েছে ভারত আদিবাসী পার্টির প্রার্থী কমলেশ্বর দোদিয়ার, যার বিরুদ্ধে ১৫টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এডিআর এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিজেপির ২৩০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৫ জন অর্থাৎ ২৮ শতাংশ নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন। এমনকি ২৩ জন বিজেপি প্রার্থী অর্থাৎ ১০ শতাংশ নিজেদের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ যে কোনও প্রভাব ফেলেনি মধ্যপ্রদেশের প্রার্থী তালিকা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট।

১৭ নভেম্বর হতে চলা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে মোট ২৫৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৪ জন জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা চলছে। একজন প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে। এছাড়াও ১০ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০২ ধারায় হত্যা সংক্রান্ত মামলা এবং ১৭ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০৭ ধারায় হত্যার চেষ্টা সংক্রান্ত মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ফৌজদারি মামলায় প্রার্থী তালিকাতে বিজেপি ছাড়াও নাম রয়েছে কংগ্রেস,আম আদমি পার্টির প্রার্থীদেরও। রিপোর্ট অনুযায়ী ২৩০ আসনের মধ্যে ৭৯ টি নির্বাচনী এলাকা অতি সংবেদনশীল বা রেড অ্যালার্ট তালিকাভুক্ত। রেড অ্যালার্ট নির্বাচনী এলাকা অর্থাৎ যেখানে তিন বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন।

এবারের মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে সমস্ত দলই ১২ শতাংশ থেকে ৫৩ শতাংশ প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে, যারা নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছে । উল্লেখ্য ২০২০ র ১৩ ফেব্রুয়ারী সুপ্রিম কোর্ট তাঁর নির্দেশে রাজনৈতিক দলগুলিকে বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে যদি এই ধরনের প্রার্থীদের টিকিট দিতেই হয় তাহলে তার যথাযথ কারণ জানাতে হবে এবং কেন তাদেরকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে ,তুলনামূলকভাবে যাদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারী মামলা নেই তাদেরকে টিকেট দেওয়া হবে না তাও স্পষ্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তরফে।

আরও পড়ুন- শীতের শুরুতেই ফের নি.ম্নচাপের ভ্রুকুটি! দক্ষিণবঙ্গে ভা.রী বৃষ্টির পূর্বাভাস