নজরুলগীতির সুরবি.কৃতি পরিকল্পিত আ.ক্রমণ! তীব্র নি.ন্দা সুখেন্দুশেখরের, গ.র্জে উঠল ‘হেরিটেজ বাংলা’

0
2

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশাত্মবোধক গানগুলির অন্যতম কাজী নজরুল ইসলামের (Nazful Islam) ‘কারার ওই লৌহ কপাট’। শোনা যায় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস যখন জেলবন্দি ছিলেন, তখনই এই কবিতা লেখেন কবি নজরুল। পরে সেটাতে সুর দেওয়া হয়। এই গান ১০০ বছর পেরিয়েও বাঙালির রক্তে ঝড় তোলে। কিন্তু এই গানকে নতুন রূপে প্রকাশ করতেই সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এআর রহমান (AR Raheman)। নজরুলগীতির বিকৃতির অভিযোগে সোমবার নজরুল মঞ্চের সামনে প্রতিবাদে সামিল হয় ‘হেরিটেজ বাংলা’।

কিছুদিনের আগে ওটিটি প্লাটফর্মে প্রকাশ পায় পরিচালক রাজা মেননের ‘পিপ্পা’। সংগীত পরিচালনা করছেন এআর রহমান (AR Raheman)। তবে বিতর্কের সৃষ্টি হয় সিনেমার একটি গান নিয়ে। ওই গানের সঙ্গে বাঙালির তথা নজরুল ভক্তদের আবেগ জড়িয়ে আছে। এর প্রতিবাদে এদিন ‘হেরিটেজ বাংলা ‘ এক সভার আয়োজন করে। নজরুল মঞ্চে বিদ্রোহী কবির মূর্তিতে মাল্যদান করে সভার সূচনা করেন। ছিলেন ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাস (Mousumi Das), হেরিটেজ বাংলার ওয়াকিং প্রেসিডেন্ট হিরণ মজুমদার, সভাপতি পার্থ চন্দ্র প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়েরও (Sukhendushekhar Ray)। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তাঁর প্রতিবাদবার্তা পড়ে শোনান হয়। তিনি লেখেন, “ফ্যাসিষ্ট শক্তির যখন উত্থান হয়, তখন দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরম্পরার ওপর সবচেয়ে বেশি আঘাত নেমে আসে। যেমন যুদ্ধের সময় নিরীহ সাধারণ মানুষ ও বিশেষত মহিলারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। একে বলা হয় ‘সফট্ টার্গেট’। এ আর রহমানের সুরবিকৃতি দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের ওপর তেমনই পরিকল্পিত আক্রমণের অঙ্গ। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীও তাই রেহাই পেলেন না। হায়! বাঙালীর রক্ত কি শুকিয়ে গিয়েছে?”

সভায় উপস্থিত ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাশ নজরুল সংগীত ‘কান্ডারি হুঁশিয়ার’ গানের মধ্য দিয়ে নিজের প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, “এই গানকে অবিলম্বে ব্যান করতে হবে। ছবি থেকে বাদ দিতে হবে”। এছাড়া বেঙ্গল হেরিটেজের কার্যকরী সভাপতি ও সভাপতি তথা হিরণ মজুমদারও এই একই দাবি জানান। বাংলার ঐতিহ্য ও বাংলার আবেগকে আঘাত করার অভিযোগও করেন তাঁরা।