কালীপুজোর সঙ্গে যেমন জড়িয়ে আছে আলো, তেমন আতসবাজিও। তবে পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শব্দের মাত্রা। পাশাপাশি সবুজবাজি বিক্রির উপরেও জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। রয়েছে প্রশাসনের কড়া নজরদারিও। এবার দীপাবলিতে আতশবাজিতেই হল লক্ষ্মীলাভ। দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোতেও বিশাল অঙ্কের ব্যবসা হল বাংলায়। অবশ্যই এর পিছনে প্রধান উদ্যোক্তা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই এবার বাংলায় সবুজবাজির পসরা বসেছিল। সবুজ আতসবাজির (Green Cracker) সেই ব্যবসা এবার পৌঁছে গেল ৮ হাজার কোটিতে। সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, মৃতপ্রায় বাজি শিল্পে পুনরায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদে। তাঁর সৌজন্যে এবার বাংলায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার সবুজবাজির ব্যবসা হয়েছে। আগামী বছর ২০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করবে বাংলার আতসবাজি শিল্প। এর আগে দুর্গাপুজোয় ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল বলে সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়। সেই রিপোর্ট তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলার দুর্গাপুজোকে ঘিরে একদিকে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হয়। আর একদিকে ব্যবসা হয়। এবার তা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। দুর্গাপুজোয় কত টাকার ব্যবসা হয়েছে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমীক্ষার তথ্য সামনে নিয়ে এসে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোয় রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে এবং সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির সহযোগিতায় কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলায় বাজি মেলা বসেছিল এবার। সেখান থেকে এবার দারুণ সাড়া মিলেছে ব্যবসায়ীদের। শব্দবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শুধু সবুজ আতসবাজিই (Green Cracker) এবার বাংলায় চুটিয়ে ব্যবসা করেছে। এখানে উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, বাংলায় সবুজ বাজির ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। তার আগে বিপুল সাফল্যের মুখ দেখল সবুজ বাজিশিল্প।