আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

0
3

১৯১৩
সাহিত্যে নোবেল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পুরস্কার দেওয়ার কথা এদিন ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। নোবেল কমিটির কাছে কবির ঠিকানাই ছিল না। শেষে সুইডিশ অ্যাকাডেমি ‘গীতাঞ্জলি’র প্রকাশক ম্যাকমিলান কোম্পানির কাছ থেকে ঠিকানা নেয়। ১৪ নভেম্বর, শুক্রবার লন্ডন থেকে কেবলগ্রাম পাঠায় ৬নং দ্বারকানাথ ঠাকুর লেনের ঠিকানায়। কমিটি লেখে, “SWEDISH ACADEMY AWARDED YOU NOBEL PRIZE LITERATURE PLEASE WIRE ACCEPTATION SWEDISH MINISTER.” ১৫-র মধ্যরাতে জোড়াসাঁকোয় নোবেলের কেবলগ্রাম এসে পৌঁছায়।

১৮৯৬ সালিম আলি
(১৮৯৬-১৯৮৭) এদিন মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের ‘বার্ডম্যান’। পাখি যে গবেষণার বস্তু হতে পারে, ঘরের বাইরে গিয়ে তাদের ইতিহাস বার করা যায়, এই বিষয়টা ভারতীয়দের মধ্যে তাঁর আগে সেরকম ভাবে কেউ ভাবেননি। ভারতের পাশাপাশি আফগানিস্তান, তিব্বত, ভুটানের পাখির প্রজনন, তাদের বাসস্থান, জীবনযাত্রা— সব কিছু নিয়ে খুঁটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। প্রতিটি সমীক্ষার উপর লিখেছেন বই। তাঁর লেখা ‘বুক অব ইন্ডিয়ান বার্ডস’ আজও পক্ষী-প্রেমীদের কাছে বাইবেলসম। আত্মজীবনী ‘দ্য ফল অব আ স্প্যারো’তে সালিম আলি লিখেছিলেন, ‘‘অস্থিতপঞ্চক সভ্যতার দ্রুতবেগের এই যান্ত্রিকযুগের কোলাহলময় ডামাডোল থেকে আমার মুক্তির রাস্তা হল পাখি দেখা।’’ বইটি ‘চড়াই উতরাই’ নামে বাংলায় অনূদিত হয়েছিল।

১৮৪০ অগস্ত রদ্যাঁ
(১৮৪০–১৯১৭) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রবাদপ্রতিম ভাস্কর। মিকেলাঞ্জেলোর ভাস্কর্যে যদি অতিকায়, দৃঢ়, নিটোল শরীর, রদ্যাঁ নিয়ে আসেন অন্তরের শরীরকে। এক বন্ধু তাঁকে বলেছেন, ভিক্টর হুগো-র একটি আবক্ষমূর্তি তৈরি করতে। হুগো পোজ দেবেন না, কিন্তু রদ্যাঁকে তিনি বাড়িতে ডেকে নিলেন। হুগো যখন ঘুমিয়ে, হাতে এবং সিগারেটের কাগজে তাঁর মাথার স্কেচ এঁকে নেন রদ্যাঁ। তার পর সেই স্মৃতি সম্বল করে ছেনি, বাটালি নিয়ে বসেন টার্নটেবল-এ। স্মৃতি থেকে এঁকে পরে ভাস্কর্য— রঁদ্যাই পথিকৃৎ! ১৯৮৩ সালে কলকাতার বিড়লা মিউজিয়ামে রদ্যাঁর ভাস্কর্যের প্রদর্শনী হয়েছিল। কলকাতায় সেই প্রথম রদ্যাঁ-প্রদর্শনী। জনতার দাবিতে নির্ধারিত সময়ের পরেও টিকিট বিক্রি হত। প্রায় এক মাস ধরে শহর, মফস্‌সল থেকে এসে লাখের বেশি দর্শক সেই ভাস্কর্যসম্ভার দেখেছিলেন।

১৯৩০ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী (১৮৬০-১৯৩০) এদিন মারা যান। ১৮৯৮-এর ৩০ মে মামা কাশিমবাজারের রাজা কৃষ্ণনাথ রায়ের সম্পত্তির অধিকারী হয়ে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত হন। দেশের নানা প্রয়োজনে, বিশেষত শিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি প্রচুর দানধ্যান করেছেন। স্বদেশি শিল্প-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং বঙ্গভঙ্গ ও রাওলাট বিলের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদ করেন। ১৯০৭ সালের ৭ আগস্ট বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে কলকাতা টাউন হলের সুবিশাল সমাবেশের সভাপতি ছিলেন স্বয়ং মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী।

১৯৪৬ মদনমোহন মালব্য
(১৮৬১-১৯৪৬) এদিন প্রয়াত হন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক বিশিষ্ট নেতা ও জাতীয় কংগ্রেসের চার বারের সভাপতি। ১৯১৬ সালে তিনি বারাণসীতে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বা বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৪-তে তাঁকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান করা হয়।

২০১৮ স্টান লি
(১৯২২-২০১৮) এদিন চিরকালের জন্য অজানা গ্যালাক্সিতে উড়ে গেলেন। স্পাইডারম্যান, এক্স মেন, অ্যাভেঞ্জারদের স্রষ্টা তিনি। লক্ষ লক্ষ কিশোর-কিশোরীর চোখে স্বপ্নের গুঁড়ো মাখিয়ে দেওয়ার স্বপনবুড়ো। মার্ভেল কমিক্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি। এক কথায়, কল্পনার দুনিয়ায় রকেট ছোটানো জিনিয়াস।

১৯৩০ গোলটেবিল বৈঠক
ইংল্যান্ডেশ্বর পঞ্চম জর্জ লন্ডনের হাউজ অফ লর্ডসে এদিন প্রথম গোলটেবিল বৈঠক উদ্বোধন করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রামসে ম্যাকডোনাল্ড। কংগ্রেস এই বৈঠক বর্জন করেছিল।