বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থার পিছনে লাগামছাড়া খরচ! মোদি সরকারের স.মালোচনায় সরব তৃণমূল

0
1

কেন্দ্রের মোদি সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে ফের প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য। আগে থেকেই একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কর্পোরেট ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ সামনে আনে বিরোধীরা। তবে মোদি সরকার তা অস্বীকার করলেও লাভের লাভ কিছুই হল না। সম্প্রতি আরটিআই-র (RTI) মাধ্যমে জানা গেল, বিগত ৫ বছরে মোদি জমানায় বিভিন্ন বেসরকারি উপদেষ্টা (Advisory) সংস্থার খাতে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, ৫ টি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা পেট্রোলিয়াম, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে নীতি আয়োগ এমনকী আধার কার্ড তৈরির মতো কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির কাজে টাকা খরচ হয়েছে বলে খবর।

রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট ৩০৮টি কাজের বরাত পেয়েছে সংস্থাগুলি। যার অর্থমূল্য কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি যে সমস্ত মন্ত্রক ও দফতরের তরফে উপদেষ্টা সংস্থাগুলিকে নিয়োগ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, প্রশাসনিক সংস্কার দফতর, শিল্পের বিকাশ, অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতর, কয়লা মন্ত্রক, ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, অসামরিক বিমান মন্ত্রক, সড়ক পরিবহন মন্ত্রক, পরিবেশ মন্ত্রক, বন ও জলবায়ু মন্ত্রক এবং পর্যটন মন্ত্রক।

তবে তথ্য অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বরাত পেয়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্স (PWC)। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা মোট ৯২টি কাজের বরাত পেয়েছে। যার অর্থমূল্য ১৫৬ কোটি টাকা। এরপরেই রয়েছে ডেলয়েট। মোট ৫৯টি কাজের বরাত পেয়েছে ডেলয়েট। যার অর্থমূল্য ১৩০.১৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ৬৮.৪৬ কোটি টাকার বিনিময়ে ৬৫টি কাজের বরাত পেয়েছে কেপিএমজি। ম্যাকিনসে ৩টি বরাত পেয়েছে, যার বাজারমূল্য ৫০.০৯ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে উপদেষ্টা সংস্থাগুলিকে বরাত দিয়েছে নীতি আয়োগও। ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১৭.৪৩ কোটি টাকার বিনিময়ে মোট ৭টি কাজ করিয়েছে নীতি আয়োগ।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের (Jawhar Sircar) অভিযোগ, সরকার আউটসোর্স করছে! সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে লাগাতার প্রচার করা হয়েছে। পাশাপাশি ইডি, সিবিআই ও আয়কর দফতরকে দিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপকে ‘ঘৃণ্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।