বিজেপি সরকারের বিরোধিতা করলেই তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শুরু করে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার। সংসদে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজের তৎপরতা বাড়ে। বৃহস্পতিবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay)। দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সমর্থনে অভিষেক বলেন, “যদি কেউ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে চায়, সরকারকে প্রশ্ন করে, আদানিদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়, কী উপায়ে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে হটানো যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।”

এদিন, মহুয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক (Abhishek Bandyopadhyay) বলেন, “নীতি কমিটিতে অনেক অভিযোগ পড়ে রয়েছে। দেড় মাস আগে নতুন সংসদভবনে যখন বিশেষ অধিবেশন বসল, বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি সংসদের গরিমায় আঘাত করেন। বিজেপি-র এমন অনেক সাংসদ রয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আজ পর্যন্ত শুনানি হয়নি।”
মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। বুধবার, ৫০০ পাতার রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি তদন্তের পরামর্শও কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে। এই সুপারিশের তীব্র নিন্দা করে অভিষেক বলেন, “নীতি কমিটির সুপারিশের যে খসড়া আমার হাতে এসেছে, তাতে দেখলাম, মহুয়ার বিরুদ্ধে কিছু রয়েছে কি না খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তদন্ত করে দেখতে হবে। যদি কিছু না-ই থাকে, তাহলে বহিষ্কারের সুপারিশ করলেন কী করে?”
মহুয়ার উপর আস্থা রেখেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য, “নিজের লড়াই, নিজে লড়ার যোগ্য।” অভিষেকের অভিযোগ, “আমাকেও চার বছর ধরে ডাকছে, জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এক মামলায় কিছু না পেলে, অন্য মামলায় নাম টানছে। এরা এটাই করে। এটা প্রতিহিংসা ছাড়া কিছু নয়। সাধারণ মানুষ সব বুঝতে পারছেন।”





































































































































