একজনের উৎসব যেন আরেক জনের দুঃখের কারণ না হয়। উৎসব যেন কারও প্রাণ কেড়ে নেয় না। আলোর উৎসবে আগে এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার জানবাজার, শেক্সপিয়ার সরণি ও ভেনাস ক্লাবের সশরীরে কালীপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই জায়গা থেকেই আরও বেশ কয়েকটি পুজোর ভার্চুয়াল (Virtual) উদ্বোধন করেন তিনি। কালীপুজো ও আলোর উৎসবের আগে রাজ্যে সবুজ বাজির ক্লাস্টার করার বিষয়ে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে গ্রিন ক্র্যাকারের ক্লাস্টার করা হবে। আমাদের সরকারের একটা পলিসি রয়েছে গ্রিন ক্র্যাকার নিয়ে। ফায়ার ক্র্যাকার অনেক সময় প্রাণ কেড়ে নেয়, তাই গ্রিন ক্র্যাকারে জোর দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীদেরও সচেতন হতে হবে।“ এছাড়া, সবুজ বাজিতে দূষণও কম হবে বলে মত মমতার (Mamata Banerjee)।
বুধবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক সেরে সশরীরে মণ্ডপে গিয়ে পুজোর সূচনা করলেন। জানবাজারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা, নির্মল মাজি, জাভেদ খান, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। মমতা বলেন, জানবাজার চিরকালই মানুষের জান, মানুষের প্রাণ, মানুষের মান। কালীপুজোর একটা ইতিহাস, রানি রাসমণির একটা ইতিহাস গড়ে উঠেছে এই জানবাজারকে ঘিরে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আরও ১০ দেবতার আরাধনা হয়।
এখান থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেন ছয়ের পল্লির কালীপুজোর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাপস সাহা, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় বক্সি প্রমুখ। পাশাপাশি দিল্লির বঙ্গভবনে বাংলার শাড়ি বিপণিও উদ্বোধন করেন। জানবাজার থেকে শেক্সপিয়র সরণি সর্বজনীন ও পরে ভবানীপুর ভেনাস ক্লাব গিয়ে শ্যামাপুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। সেখান থেকেও একাধিক পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি।