বিল নিয়ে রাজ্যপালের গড়িমশি: ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টের হুঁশিয়ারি, ‘আপনি নির্বাচিত নন’

0
1

মনোনীত আর নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে ফারাক রয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে চলা সংঘাত আবহে বারবার একথা বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্যপালদের আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেশের শীর্ষ আদালত। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো বিল আটকে রাখার অভিযোগ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানালো, “আপনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। রাজ্যপালদের এই সত্যিটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।” বিল অনুমোদনে বিলম্ব নিয়ে আম আদমি পার্টি সরকারের দায়ের করা মামলায় সোমবার পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে হুঁশিয়ারি দিল সুপ্রিম কোর্ট।

বিল অনুমোদনে রাজ্যপালদের অহেতুক গড়িমসি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট দীর্ঘদিন ধরেই বিরক্ত। পাঞ্জাব, কেরল সহ একাধিক অবিজেপি রাজ্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এদিনের শুনানিতে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে কেন? বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে পৌঁছলে তবেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন রাজ্যপাল। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সুপ্রিম কোর্টে এলে রাজ্যপাল কাজ করবেন, এটা হওয়া উচিত নয়। সংশ্লিষ্ট রাজ্য বিধানসভা থেকে বিলগুলি রাজ্যপালের কাছে আসামাত্র কাজ শুরু করতে হবে। এমনকী, বিল পৌঁছনোর আগেও অনেক সময় কাজ শুরু করা যেতে পারে।’

এদিন শুনানির সময় এই ইস্যুতে কেরল এবং তামিলনাড়ুর দায়ের করা একাধিক পিটিশনের উল্লেখ করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এবং প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের কল্যাণে পাশ করা বিলগুলির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চান না রাজ্যপাল। এরপরই রাজভবনের এই ‘দেরির রোগ’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। অবিলম্বে এর অবসান ঘটাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ আরও বলে, ‘রাজ্যপালদের কিছুটা আত্ম-অনুসন্ধান প্রয়োজন।’ এদিনের শুনানির পর পাঞ্জাবের রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ নেন, সে ব্যাপারে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তুষার মেহতাকে। ১০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।