বিহারের ৩৪% পরিবারের মাসিক আয় ৬ হাজারেরও নিচে, নয়া তথ্য জাতিগত গণনায়

0
2

বিহারের (Bihar) জাতিগত সমীক্ষার দ্বিতীয় রিপোর্ট প্রকাশিত হল মঙ্গলবার। সমীক্ষা অনুসারে, বিহারে ৩৪.১ শতাংশ পরিবার দরিদ্র, যাদের মাসিক আয় ৬০০০ টাকার কম। মঙ্গলবার  বিহারের জাতি শুমারি এবং আর্থ-সামাজিক সমীক্ষার রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে। জাতি সমীক্ষায় দেখা গেছে বিহারে পুরুষ সাক্ষরতার হার ১৭% এবং মহিলাদের সাক্ষরতার হার ২২%। তফসিলি জাতি ও উপজাতির ৪২ শতাংশ পরিবার দরিদ্র শ্রেণিতে রয়েছে।

জাতিগত সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে বিহারের সাধারণ মানুষের আর্থিক পরিস্থিতির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের ৩৪.১৩ শতাংশ মানুষের মাসিক আয় ৬ হাজার টাকার কম। ২৯.৬১ শতাংশ মানুষের আয় প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও ২৮ শতাংশ মানুষের মাসিক আয় ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। বিহারের মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করেন।

জাতিগত সমীক্ষা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, ‘প্রতিবেদনটি সদনে পেশ করা হয়েছে। এখন আমাদের মন্ত্রীরা সংক্ষিপ্তভাবে এটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করবেন।” এর পরে , প্রতিটি দলের নেতারা এ বিষয়ে তাদের মতামত জানানোর সুযোগ পাবেন। সবার সম্মতিতেই এই বর্ণ শুমারি করা হয়েছে’।

মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন তথ্যে সাধারণ শ্রেণীর বর্ণের মধ্যে, ভূমিহার, ব্রাহ্মণ এবং রাজপুতদের দারিদ্র্যের সর্বোচ্চ প্রবণতা রয়েছে যথাক্রমে ২৭.৫৯%, ২৫.৩২% এবং ২৪.8৮%, যেখানে কায়স্থদের সর্বনিম্ন দরিদ্রতা ১৩.৮৩%। উচ্চবর্ণের মুসলমানদের মধ্যে শিখদের ২৫.৮৪% দরিদ্র, তারপরে পাঠান (খান) ২২.২% এবং সায়াদ ১৭.৬১%। সামগ্রিকভাবে, সাধারণ বিভাগের ২৫.০৯% জাতি দরিদ্র হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ। তথ্য বলছে যে অনগ্রসর শ্রেণীর মধ্যে দারিদ্র্যের হার (৩৩.১৬%) বেশি। যাদবরা, যারা রাজ্যের জনসংখ্যার ১৪%, তাদের ৩৫.৮% দরিদ্র। কুশওয়াহা (৩৪.৩%), কুর্মি (২৯.৯%), বানিয়া (২৪.৬%), মোমিন মুসলিম (২৬.৭%), ধুনিয়া মুসলিম (৩১.৪%) এবং বিন্দ (৪৪.১%)।অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য দারিদ্র্যের হার ছিল ৩৩.৫৮%।

আরও পড়ুন- বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে কাজের সুযোগ কতটা? সমীক্ষা করবে রাজ্য, দায়িত্বে ম্যাকাউট