১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার প্রাপ্য টাকা থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের প্রতিবাদে সরব হল তৃণমূল। মঙ্গলবার বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে এক সভায় বিভেদের রাজনীতি এবং বিমাতৃসুলভ আচরণের জন্য বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায় এবং বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, মমতাদি তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে একের পর এক সামাজিক স্কিম করে মানুষকে উপকার পাইয়ে দিয়েছেন। রাস্তা, আলো, জল, বিদ্যুৎ, একশো দিনের কাজ – বাংলা অনেক এগিয়েছে। যদি কাজের কথা বলা হয়, তাহলে তৃণমূল সরকার বামজমানাকে টেক্কা দিয়ে কাজ করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
মানুষকে একটু রিলিফ দিতে জন্ম থেকে মৃত্যু, প্রতিটি পর্যায়ে সাহায্যের ব্যবস্থা করেছেন।
জঙ্গলমহল বা পাহাড়, বামজমানায় ভয়ানক হয়ে উঠেছিল, এখন পর্যটকরা শান্তিতে যান। আরও বহু পর্যটনকেন্দ্র চালু হয়েছে। এগুলো তো কর্মসংস্থান বাড়ায়। সরকারি আবাস আধুনিক হয়েছে। নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, সেতু, উড়ালপুল হচ্ছে। গ্রামোন্নয়ন, স্বনির্ভরতাতেও বহু স্কিম। বাংলার প্রায় দশ কোটি নাগরিকের কাছেই কোনো না কোনো পরিষেবা দিচ্ছে সরকার। রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভান্ডার একটার পর একটা পরিষেবা।বাংলা থেকে বিজেপির ট্যাক্স নিয়ে যাচ্ছে অথচ বাংলার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না যারা ১০০ দিনের কাজ করেছেন তাদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি পর্যন্ত আন্দোলন নিয়ে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সময় বেধে দিয়েছেন। এরপর আরও বড় আন্দোলনে আমরা নামব।
এদিন কুণাল সাফ জানান, বাংলা আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচবে। বিশ্বভারতীর ফলক থেকে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে দিয়ে, সেই উপাচার্য বড় বড় কথা বলবেন । বাংলার মাটি বাংলার মানুষ এ জিনিস মানবে না। অমর্ত্য সেনকে এরা অপমান করবে , মমতা ব্যানার্জিকে অপমান করবে, এ জিনিস মেনে নেবে না বাংলার মানুষ। বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ, তাসের ঘরের মতো ভাঙছে।
সিপিএম কংগ্রেস জোট করেছে, বিজেপির দালাল। এদের ভোট দেবেন না ,নিজের অধিকার রক্ষায় তৃণমূলের উপর ভরসা রাখুন।