নদীর পাড়ে বাচ্চার কান্না শুনে চমকে গেছিলেন সবাই। এত ছোট শিশু জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামে কী করছে, ভাবতেই পারেননি গ্রামবাসীরা। কিন্তু শব্দের উৎস খুঁজে খুঁজে পনাশগুড়ি গ্রামের নদীর ধারে পৌঁছতেই চক্ষু চড়কগাছ! এ কী, শিশু নয় এ তো ইঁদুরের মতো দেখতে এক প্রাণী। তাকে সামলাতে কার্যত ঘুম উড়েছে বন দফতরের (Forest Department)কর্মীদের। বৃহৎ আকারের প্রাণীটি দেখতে বাঁশের ইঁদুরের মতো। একদম বাচ্চাদের মতো কাঁদে। বন দফতর বলছে এদের নাম ব্যাম্বু র্যাট (Bamboo Rat)।
ইঁদুর বলতে যেটা মনে হয় এই প্রাণী সেরকম নয়। হাঁটা চলাও একটু অদ্ভুত ধরণের। তবে এদের অনুভূতি প্রবল। বন দফতরের তরফে জানা গিয়েছে,মূলত দক্ষিণ-পূর্ব নেপাল থেকে দক্ষিণ চিন এবং মায়ানমার-সহ তাইল্যান্ড পর্যন্ত উচ্চভূমিতে বাঁশের বাগানে বাস করে এরা। বাঁশ বাগানে এরা থাকে। তৃণভোজী প্রাণী। বাঁশের কোরল খায়। বেশ কিছু আচার আচরণ মানুষের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। রবিবার সন্ধ্যায় রাজগঞ্জ ব্লকের বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় একে দেখে আঁতকে ওঠেন এলাকাবাসী। পরে আমবাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীরা এসে বাঁশের ইঁদুরটিকে উদ্ধার করেছে।