১৮ ঘণ্টা টানাপড়েনের শেষে বিনা বাধায় আত্মসমর্পণ করলেন ‘আততায়ী’ বাবা। উদ্ধার করা হল ৪ বছরের শিশুটিকে। পুলিশ জানিয়েছে, সে অক্ষত রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর শনিবার রাতে জার্মানির (Germany) হামবুর্গ বিমানবন্দরে (Hamburg Airport) গাড়ি নিয়ে গেট ভেঙে একটি চার বছরের শিশু নিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকেন এক ব্যক্তি। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় তাঁকে শূন্যে গুলি চালাতে দেখা যায়। এমন ঘটনার জেরে পণবন্দি (Hostage Situation) পরিস্থিতি তৈরি হয় বিমানবন্দরে। শুরু হয়ে যায় হট্টগোল-চিৎকার। ঘটনার জেরে ব্যহত হয় বিমান পরিষেবা (Plane Service)। গোটা বিমানবন্দর ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, সন্তান কার কাছে থাকবে তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর চলছিল। সেইসময় স্ত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ছেলেকে ছিনিয়ে আনে গাড়িতে থাকা অভিযুক্ত। তিনিই হামবুর্গ বিমানবন্দরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত আটটা নাগাদ বেপরোয়া একটি গাড়ি নিরাপত্তার বলয় ভেঙে বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকে আসে। সূত্রের খবর, যে অংশে বিমানগুলিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, সেই টারম্যাক এলাকায় গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েন অভিযুক্ত। পরে শূন্যে দুই রাউন্ড গুলিও চালান তিনি। এমনকী, বোতলে আগুন ধরিয়ে তা টারম্যাক এলাকায় ছুড়ে মারেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জার্মান বাহিনী।
জার্মানির পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এক মহিলা ফোন করে ৪ বছরের সন্তানকে অপহরণের কথা জানান। কিন্তু অভিযুক্ত কেন বিমানবন্দরে ঢুকে তাণ্ডব চালালেন, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশের সন্দেহ, বাচ্চা কার কাছে থাকবে, সেই নিয়ে ঝগড়া থেকেই অপহরণ। অপহরণের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। জানা গিয়েছে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে স্টেজ-এ থাকে। ওই যুবক থাকেন অন্য শহরে। গত কাল তিনি মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে পালান। তার পর ঢুকে পড়েন হামবুর্গ বিমানবন্দরে।