দূষণে হাঁ.সফাঁস অবস্থা দিল্লির! পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ

0
2

সময় যত গড়াচ্ছে ধীরে ধীরে বিষিয়ে উঠছে রাজধানী শহরের বাতাস। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শ্বাস নেওয়া দায় হয়ে উঠেছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লির (Delhi)। বাতাসের গুণমান (Air Quality) ‘অত্যন্ত ভয়ঙ্কর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে শুধু দিল্লিই নয়, এই তালিকায় নাম উঠেছে বাণিজ্যনগরী মুম্বাই (Mumbai) ও কলকাতার (Kolkata)। ক্রমাগত বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। তবে বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত শহরগুলির তালিকায় প্রথম স্থানেই রয়েছে দিল্লি।

সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার-র তরফে প্রকাশিত তথ্যেই দেখা যাচ্ছে রবিবার ৫ নভেম্বর বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর দিল্লি। সেখানে বাতাসের গুণমান ৪৮৩। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের লাহোর। সেখানে বাতাসের গুণমান ৩৭১। এরপরই তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতার নাম। কলকাতার বাতাসের গুণমান ২০৬। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা, পঞ্চম স্থানে করাচি এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মুম্বাই। সেখানে বাতাসের গুণমান ১৬২। তালিকায় এরপরে রয়েছে চিনের বেশ কয়েকটি শহর ও কুয়েত সিটি।

এদিকে ৩ এবং ৪ নভেম্বর রাজধানীর সমস্ত প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় প্রাথমিক স্কুলগুলি ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সাফ জানানো হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। তবে তাদের জন্য অনলাইনে ক্লাস করার বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী আতিশী। তবে পরিবেশবিদদের মতে, দিল্লিতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে পশুপাখিদের উপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে দিল্লি পুরনিগম জানিয়েছে, দূষণ পরিস্থিতি সামলাতে ৫১৭টি নজরদারি দল গঠন করা হয়েছে। ১,১১৯ জন আধিকারিককে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় জল ছেটানো হচ্ছে। এমনকি স্মগ গান এনেও দূষিত ধোঁয়া কাটানোর চেষ্টা চলছে।  কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপ পর্যায় এমনকি অত্যন্ত ভয়ানক পর্যায় গিয়ে ঠেকেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। তবে দিল্লিতে ব্যাপক বায়ুদূষণের কারণে বাড়ির বাইরে বেরলেই চোখ-নাক-গলা জ্বালা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির মতো সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। চিকিৎসকরাও সকলকে মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে শিশু ও বয়স্কদের।