ফের হার ইস্টবেঙ্গল এফসির। এদিন ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসির কাছে ১-২ গোলে হারল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। পেনাল্টিতে লাল-হলুদের হয়ে এক গোল করলেও, তার আগে ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক।
ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। কেরালা উইং দিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে। এবং বল ক্রস করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল কাউন্টার আক্রমণের উপর নির্ভর করে। তবে এরই মধ্যে গোল করে দেয় কেরালা। ৩২ মিনিটে আদ্রিয়ান লুনা একটি থ্রু বল খেলেন এবং দাইসুকে সেই বল ধরে দৌড়ে উপরে উঠে, লাল-হলুদের ফাঁকা গোল পেয়ে সহজেই ১-০ করে বেরিয়ে যান। রক্ষণের কেউ আটকাতেই পারেনি দাইসুকেকে। এই গোলের পর ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে লাল-হলুদের ডিফেন্স নিয়ে। প্রথমার্ধে আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি লাল-হলু। যার ফলে প্রথমার্ধে ১-০ পিছিয়ে থাকে কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৫৫মিনিটে ভাল সুযোগ তৈরি করে লাল-হলুদ। ক্লেটন সিলভা মাপা শটে বক্সের মধ্যে সিভেরিওকে বল বাড়ান। তবে বলটি মহেশের কাছে পৌঁছে যায়, যিনি বলটি ধরে সুন্দর রান করেন তবে আসল কাজ করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ম্যাচের ৬১ মিনিটে মহেশ একটি পিন-পয়েন্ট ক্রস বাড়ান সিভেরিওকে। তিনি বলটি শক্তিশালী ভাবে হেড করেন ঠিক গোলটি মিস হয়ে যায়। এরপর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ। বল ধরতে গিয়ে কেরালার কিপার সচিন সুরেশ নওরেম মহেশ ফাউল করে বসে। পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। তবে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। এরপর দ্বিতীয় গোলটি করে কেরালা। ৮৮ মিনিটে কেরালার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন দিয়ামান্তাকস। সেই ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ভুলেই গোলটি হয়। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ। এবার আর মিস করেননি ক্লেটন। লাল-হলুদের হয়ে ১-২ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:জন্মদিনেই সচিনের রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে বিরাট, কোনরকম চাপে কোহলি? মুখ খুললেন দ্রাবিড়