মানা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় আইন (University Rules)। আর সেকারণেই এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) কড়া চিঠি দিল রাজ্য। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (Executive Council) বৈঠক ডাকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে, বৈঠক নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে কড়া চিঠি ধরিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ভার্চুয়ালি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে খবর।
তবে এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) সাফ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) রায় অনুযায়ী রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের কথা বলার কথা। কিন্তু আমাদের এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি কোনও চিঠিও আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘিত হওয়ার কারণে আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে পুরো বিষয়টি জানাব। এরপর আদালত যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবশ্যই নেবে। অন্যদিকে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, এই বৈঠক ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। পাশাপাশি বৈঠকে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনওরকম অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়েছে, অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ (Buddhadev Shaw) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নয়। তাঁকে অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সেকারণেই তিনি কর্মসমিতির বৈঠক কোনওভাবেই ডাকতে পারেন না। এদিকে বিষয়টি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, আমার কাছে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করার সবরকম অধিকার আছে। যা হবে আইন মেনেই হবে। তবে আমার কাছে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও চিঠি এসে পৌঁছয়নি।
উল্লেখ্য, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে চরমে ওঠে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্ট পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সেই জল পৌঁছেছে। সেই মামলা দেশের শীর্ষ আদালতে এখনও বিচারাধীন। আর এমন আবহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠককে কেন্দ্র করে আপত্তির কথা সাফ জানিয়ে দিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। উচ্চ শিক্ষা দফতরের থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বুদ্ধদেব সাউয়ের ডাকা এদিনের বৈঠক ২০১৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী। আর সেকারণেই পাঠানো হয়েছে কড়া চিঠি।