ইজরায়েলের(Israel) বেলাগাম হামলায় কার্যত মৃতের স্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা(Gaza)। হামাসের ‘পাপ’-এর ফল ভোগ করছে গাজার নিরীহ মানুষ। ভয়াবহ এই অবস্থায় গাজায় মানবিক সহায়তা ও যুদ্ধ বিরতির আবেদন জানাতে ইজরায়েল সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন(Antony Blinken)। তবে ব্যর্থ হল সে বৈঠক। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন বিদেশসচিবকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘হামাসের হাতে পণবন্দিরা যতক্ষণ না মুক্তি পাচ্ছে ততক্ষণ কোনও চুক্তি করা হবে না।’ শুধু তাই নয়, হাসপাতালের পর নতুন করে গাজার এক অ্যাম্বুলেন্সে বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের, আহত হয়েছেন ৬০ জন।

গাজায় মানবিক সাহায্য ও লড়াই থামানোর আবেদন জানাতে ইজরায়েল সফরে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তেল আবিবে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের প্রস্তাব জানান ব্লিঙ্কেন। তবে সে প্রস্তাব খারিজ করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যতক্ষণ না সব বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে হামাস ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ থামার কোনও প্রশ্নই নেই। এই বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর মার্কিন বিদেশসচিব বলেন, “এই যুদ্ধ কেবল হামাসকে পরাজিত করাই নয় বরং ৭ অক্টোবরের মতো ঘটনা আর কখনো যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে আমাদের একটি ভালো ধারণা নিয়ে লড়াই করতে হবে…ভবিষ্যতের জন্য আরও ভালো দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে এবং দেখাতে হবে তা অর্জনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” পাশাপাশি ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন, “দ্বি-রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি ‘মানুষকে আশা জোগাতে পারে’ এবং এই অঞ্চলে বিস্তৃত এবং শক্তিশালী একটি জোট এটা সমর্থনও করে।” জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের কাছে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব নিয়ে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর শুক্রবার গভীর রাতে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে পৌঁছেছেন ব্লিঙ্কেন। শনিবার জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সেখানে মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্যালেস্টাইনের একজন প্রতিনিধি।
এদিকে মার্কিন বিদেশসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর ফের গাজায় হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, গাজা শহরের বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফার বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করেছে ইজরায়েলের বায়ু সেনা। যার জেরে মৃত্যু হয় ১৫ জনের, আহত হয়েছেন ৬০ জন। এই হামলার কথা স্বীকার করে ইজরায়েল সেনা দাবি করছে, তারা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করেছে কারণ সেটি হামাস যোদ্ধারা ব্যবহার করছিল। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে ওইদিন থেকেই গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইজরায়েল। এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী।







































































































































