টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে এথিক্স কমিটির মুখোমুখি হয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন মহুয়া মৈত্র(Mahua Maitra)। তৃণমূল সাংসদের(TMC MP) বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে দল এখনও পর্যন্ত চুপ থাকলেও তাঁর পাশে দাড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়(Shatabdi Roy)। শুক্রবার মহুয়া প্রসঙ্গে তিনি জানলেন, “মহুয়ার জনপ্রিয়তা বেশি। তাই তাঁকে নিশানা করছে বিজেপি(BJP)।” একইসঙ্গে তাঁর দৃঢ় মানসিকতার প্রশংসাও করেন শতাব্দী।
শুক্রবার বীরভূমের তারাপীঠে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহুয়া প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, “মহুয়া অত্যন্ত দৃঢ় মানসিকতার মহিলা খুব কড়া সাংসদ। একইসঙ্গে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। মহুয়ার প্রবল জনপ্রিয়তার জন্যই বিজেপি তাঁকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে। এথিক্স কমিটি যে প্রশ্ন করেছে তাতে আপত্তি তো বিরোধীরা সবাই করেছেন, একা মহুয়া তো নয়!” তবে শুধু মহুয়ার পাশে দাঁড়ানো নয়, এথিক্স কমিটির সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন শতাব্দী। তিনি বলেন, “এথিক্স কমিটি যে নিয়মকানুন দেখাচ্ছে সেটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত। শুধুমাত্র মহুয়া অ্যাটাকিং বলে, মহুয়া বিরোধিতা করছে বলে দু’দিনের মধ্যে ওঁকে ডাকা হোক, এটা ঠিক নয়। যাঁদের ১০ বছর ধরে পড়ে আছে, তাঁদের কবে ডাকা হবে?”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির ডাকে সাড়া দিয়ে সংসদে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কিন্তু সেই বৈঠকে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর ওয়াকআউট করে বেরিয়ে আসেন মহুয়া সহ কমিটির বিরোধী সাংসদ সদস্যরা। মহুয়া অভিযোগ করেন, ঘটনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন কিছু আপত্তিকর প্রশ্ন তাঁকে করা হয়েছে যা অনৈতিক, ব্যক্তিগত এবং অশালীন। সেখান থেকে বেরিয়ে স্পিকার ওম বিড়লাকে বিস্ফোরক চিঠিও লেখেন মহুয়া মৈত্র। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, কমিটির সকলের সামনে তাঁকে কার্যত বস্ত্রহরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি অভিযোগ তুলেছেন, মিটিংয়ে তাঁর প্রতি অনৈতিক, নিম্নমানের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কার সঙ্গে রাতে ফোন করেন সেটা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি টুইটারে এক হিন্দি কবিতা তুলে ধরেন মহুয়া যেখানে লেখা, “কৃষ্ণ তোমায় রক্ষা করতে আসবে না, তাই দ্রৌপদী তুমি নিজের হাতে অস্ত্র তুলে নাও।”