রেশন মামলায় (Ration Distribution Case) মেরুন ডায়েরির পর এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তিন নোটবুক। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) আপ্ত সহায়ক থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠদের নথি খতিয়ে দেখার পর এবার ইডির (ED) হাতে তিনটি নোটবুক এসেছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। গত ১৪ অক্টোবর রেশন বণ্টন মামলায় গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে (Bakibur Rahman)। এরপর দ্বাদশীর রাতে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। বাকিবুরের বিপুল আয়ের উৎস খুঁজতে গিয়েই তাঁর নাম উঠে আসে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাকিবুরের সংস্থার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের যোগাযোগের বিষয়টি আগেই জানতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মোট তিনটি সংস্থায় শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমে মোটা টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বাকিবুর। সূত্রের খবর প্রাথমিক জেরায় তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম বলায় এবার সেই তথ্যকে সামনে রেখেই জ্যোতিপ্রিয়কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রস্তুত ইডির গোয়েন্দারা। সাধারণ মিল মালিক এবং ব্যবসায়ী হলেও খাদ্য দফতরে অবাধ যাতায়াত ছিল বাকিবুরের। কী কারণে এত ঘনিষ্ঠতা তা নিয়ে সন্দেহ জাগছে অফিসারদের। অমিত দে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য দিয়েছেন সেখান থেকেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর হাতে এবার এসেছে তিনটি নোটবুক। সেখানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জ্যোতিপ্রিয়- বাকিবুরের যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা চলছে। রেশনে খাদ্যশস্যের পরিমাণ কমানো নিয়ে বাকিবুর যে বয়ান ইডিকে দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেও তদন্ত এগোচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে কোনও রকমের রিস্ক নিতে চাইছেন না কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। প্রিয়দর্শিনী মল্লিক কিংবা তাঁর বাড়ি থেকে আসা খাবারও প্রথমে বাড়ির লোককে খাইয়েই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মাঝেই আবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার আদালত জানায় ,যে আপাতত ইডি হেফাজতে থাকাকালীন স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য কমান্ড হাসপাতালে (Command Hospital) নিয়ে যাওয়া যাবে। প্রয়োজনে তাঁর চিকিৎসার পরিষেবাও পাওয়া যাবে কমান্ড হাসপাতাল থেকেই। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ বলেন কমান্ড হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত পরবর্তী শুনানিতে জানানো হবে।