“মিউজিয়ামে সংর.ক্ষণ করার মতো প্রতিভা”! বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে পত্রবো.মা তৃণমূল ছাত্রনেতার

0
2

বারবার বি.তর্কে জড়িয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(Bidyut Chakraborty)। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। চিঠি দিয়ে বেলাগাম ও কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণ করা বিশ্বভারতীর রাস্তা ফেরত চেয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। আর সেখানেই এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা রীতিমতো বিতর্ক তৈরি করেছে। একজন উপাচার্য নয়, বরং বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একজন বিরোধী রাজনৈতিক নেতার মতো মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে আক্রমণ করেছেন।

এবার বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পাল্টা খোলা চিঠি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি সুদীপ রাহা (Sudip Raha)খোলা চিঠিতে নজিরবিহীন আক্রমণ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে। সুদীপ তাঁর পত্রবোমার ছত্রে ছত্রে বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু উপাচার্য হিসেবেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ব্যর্থ তা নয়, তিনি আসলে একজন কমিক রিলিফ এবং ‘ভাঁড়’ হিসেবে সফল। উপাচার্যর আচরণ প্রমাণ করছে উনি সাইকোপ্যাথ। কারণ, একজন উপাচার্য হয়ে রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে কীভাবে চিঠি লিখতে হয় সেটাই জানেন না বিদ্যুৎবাবু। এখানেই কটাক্ষের শেষ নয়, ছাত্রনেতা সুদীপ রাহা খোলা চিঠিতে উপাচার্যকে আক্রমণ করে লিখছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখার মতো প্রতিভা আছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর।এই উপাচার্যের আমলে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতীর সুনাম, গরিমা, সাফল্য সবই তলানিতে গিয়েছে। একের পর এক তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল ছাত্রনেতা সুদীপ রাহা খোলা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন—–

১. একজন উপাচার্য যিনি নিজের হাতে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করছেন।

২. কেউ যদি তাঁর বিরোধিতা করেন কিংবা তাঁর সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ না করেন, সেক্ষেত্রে তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দিতে উদ্যত হন এই উপাচার্য। পড়ুয়াদের পিএইচডি বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।

৩. NAAC Ranking-এ B Grade করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে।

৪.এনার উপাচার্য থাকার সময় প্রত্যেক বছর NIRF Ranking পড়ছে বিশ্বভারতীর। এখন দেশের ৯৭তম স্থানে রয়েছে বিশ্বভারতী।

৫. Overall Ranking-এ যেখানে ২০১৯ সালে বিশ্বিভারতী ৫৩তম স্থান অধিকার করেছিল, ২০২৩-এ তা গিয়ে দাঁড়ায় ১০১-এ।

৬. বাংলায় যেখানে ২০১৯ সালে বিশ্বভারতী চতুর্থ শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছিল, ২০২৩-এ সেই Ranking গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭-তে।

উপরের তথ্যগুলি তুলে ধরে সুদীপের আক্রমণ, “বিশ্বভারতীর মানন্নয়নে উপাচার্যের হুঁশ নেই, জমির কালেক্টরদের মতো আচরণ করছেন উনি। বন্ধ হয়ে যাওয়া মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখার মতো প্রতিভা আছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। আপনি বাংলার বাইরে নির্বাসনে যান। আপনার আচরণ প্রমাণ করছে সাইকোপ্যাথ আপনি, কেননা একজন উপাচার্য হয়ে রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে কীভাবে চিঠি লিখতে হয় জানেন না।”