হঠাৎ সচিন – সারার বি.চ্ছেদ, নির্বাচনী হলফনামায় কংগ্রেসের তরুণ তুর্কির ব্যক্তিগত জীবন!

0
3

জোরকদমে চলছে রাজস্থানে নির্বাচনী (Rajasthan Assembly Election)প্রস্তুতি। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্যতম তরুণ তুর্কি সচিন পাইলট (Sachin Pilot)। এরপর থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু। জানা যাচ্ছে নির্বাচনী হলফনামায় নিজেকে ডিভোর্সি বলে দাবি করেছেন সচিন (Sachin pilot)। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে।

রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে সারা আবদুল্লার (Sara Abdullah) সঙ্গে সঙ্গে প্রায় দুই দশকের দাম্পত্য কাটানোর পর এবার বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে হয়ে এল। ২০০৪ সালে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লার কন্যা সারার সঙ্গে সাংসারিক জীবন শুরু করেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলটের ছেলে সচিন পাইলট। লন্ডনে এমবিএ পড়ার সময়েই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং পরবর্তীতে তা প্রেমের দিকে এগোয়। বিয়ে এবং রাজনৈতিক ক্যারিয়ার দুই ক্ষেত্রেই যথেষ্ট চড়াই উতরাই পার করেন কংগ্রেস নেতা। ৪৬ বছর বয়সী সচিন এবার রাজস্থানের টঙ্ক কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। রাজ্য রাজনীতিতে বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা হিসাবেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে। যদিও রাজনীতির ময়দানে কখনই সক্রিয় হতে দেখা যায়নি সারাকে। দুই পরিবার এই বিয়েতে প্রাথমিকভাবে সম্মতি দেননি। বিশেষ করে ধর্মীয় বিভেদ থাকায়, নিজেদের প্রেমকে পরিণতি দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল সচিন এবং সারা দুজনকেই। শেষমেষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন যুগলে। বিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল, তবে নির্বাচনী হলফনামায় তা উল্লেখ করায় এবার নেপথ্যের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

২০১৮ সালে জমা দেওয়া হলফনামায় স্ত্রীয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন সচিন। তবে এবার তিনি নিজেকে ডিভোর্সি পরিচয় দিয়েছেন। সচিন জানান, তাঁর দুই সন্তান আরান ও বেহান তাঁর ওপর নির্ভরশীল। হলফনামায় কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট বলেছেন, ২০১৮ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩.৮ কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে ৭.৫ কোটি টাকা হয়েছে।