তিন মাসে একটি শিশুরও জন্ম হয়নি!কারণ জানলে চমকে যাবেন

0
2

এর আগেও সর্বনিম্ন জন্মহারকে কেন্দ্র করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ইতালি।কিন্তু এবার নিজেদের গড়া সব ধরনের রেকর্ডই ভেঙে ফেলল তারা। নিশ্চয়ই ভাবছেন কী এমন ঘটল? এক পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর, চমকে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, তিন মাসে একটিও শিশু জন্মায়নি ইতালিতে।অথচ ৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ ইতালি।ওয়াকিবহল মহলের মত, এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক দশকে এই দেশের জনসংখ্যা কমে ৪ কোটিতে নেমে আসতে পারে।

ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে,২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত যে সংখ্যক শিশু ইতালিতে জন্মেছে চলতি বছরে সে তুলনায় সাড়ে ৩ হাজার কম শিশুর জন্ম হয়েছে। ২০২২ সালে সে দেশে সার্বিক জন্মের হার নিয়েই জোর চর্চা হয়েছিল। ISTAT বলছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে ফার্টিলিটি রেট যা তাতে বার্ষিক জন্মের হার আরও অনেকটাই কমবে।

রিপোর্ট বলছে, ইতালিতে ৩১ বছর বয়সে মহিলারা প্রথম সন্তানের জন্ম দেন।২০২২ সালে এমনও দেখা গিয়েছে যে ৪১.৫ শতাংশ শিশুর মা-ই অবিবাহিত।এমনকী, এক আন্তর্জাতিক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মাসে ইতালিতে একটিও শিশুরও জন্ম হয়নি।এর কারণ হিসাবে প্রকাশ্যে এসেছে এক অদ্ভূত তথ্য। সে দেশে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সি মেয়ে বা মহিলার সংখ্যা অনেকটাই কম। অধিকাংশ মেয়ের বয়স ৫০-এর উপরে অথবা ১৫-এর নীচে। ক্রমেই জনসংখ্যার দিকটি এ দেশে সঙ্কটের জায়গায় চলে যাচ্ছে।

গত বছরই এই বিষয়টিকে কার্যত ‘ন্যাশনাল এমার্জেন্সি’ হিসাবে দেখেছিলেন ইতালির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। ISTAT-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ইতালিতে প্রতি ৭ শিশুর জন্মে ১২ জনের মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে জনসংখ্যা কমেছে দ্রুত হারে।গর্ভাবস্থার সপ্তম মাস থেকে জন্মের পর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে নানা আর্থিক সুবিধার কথাও ঘোষণা করেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। তিন মাসে একটি শিশুর জন্ম না হওয়া তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।