রাজ্যপালের অসহযোগিতা, শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু

0
2

বিধানসভায় বিল পাশ হচ্ছে ঠিকই তবে রাজ্যপালের দফতরে পড়ে রয়েছে সেই বিল। সময়মতো সেই বিলে অনুমোদন দিচ্ছেন না রাজ্যপাল। এমনই অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল দুই রাজ্য পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ু। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, রাজ্যপালদের কাছে অনুমোদনের জন্য পড়ে থাকা বিলগুলির সময়মতো নিষ্পত্তির জন্য আদালত হস্তক্ষেপ করুক। গত ২৮ অক্টোবর এই মর্মে আবেদন জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে।

পাঞ্জাব সরকারের আবেদনটি তালিকাভুক্তির জন্য অনুমোদন করা হলেও, তামিলনাড়ু সরকারের আবেদনের অবস্থা জানা যায়নি। আম আদমি পার্টির (আপ) নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত পাঞ্জাব বিধানসভার ২৭টি বিলের মধ্যে মাত্র ২২টিতে সম্মতি দিয়েছেন। গত সপ্তাহে, পাঞ্জাব সরকার রাজ্যপালের অনুমোদন স্থগিত করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে, পুরোহিত মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে চিঠি লিখে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে আগামী দিনে বাকি বিলগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, তামিলনাড়ু সরকার বলেছে যে বিধানসভায় পাস করা ১২টি বিল রাজ্যপাল আরএন রবির অফিসে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। রাজ্যপাল সরকারী কর্মচারীদের বিচারের অনুমোদন এবং বিভিন্ন বন্দীদের অকাল মুক্তি সংক্রান্ত ফাইলগুলি নিয়ে বসে আছেন। দুটি আবেদনেই সরকারি কমিশনের সুপারিশের উদ্ধৃতি দিয়ে, সরকার বিধানসভা দ্বারা পাস করা বিলগুলিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য রাজ্যপালদের সময়সীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল তার নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে, সমগ্র প্রশাসনকে অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং রাজ্য প্রশাসনকে সহযোগিতা না করে একটি প্রতিকূল মনোভাব তৈরি করছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের স্পষ্ট অভিযোগ, অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালকে হাতিয়ার করে লাগাতার সরকারগুলির সঙ্গে অসহযোগিতা জারি রেখেছে। শুধু এই দুই রাজ্য নয়, দেশের অন্যান্য অবিজেপি রাজ্যগুলিতে একই পন্থা জারি রাখা হয়েছে। বাদ নেই বাংলাও। বিরোধীদের স্পষ্ট অভিযোগ রাজ্যপালকে সরাসরি ব্যবহার করা অবিজেপি সরকারগুলির বিরুদ্ধে।