অভিজিৎ ঘোষ, যোধপুর (রাজস্থান): রাজস্থানে প্রতি পাঁচ বছর গদি বদলায়। অন্তত ১৯৯৮ সাল থেকে তেমনটাই হয়ে আসছে। অশোক গেহলট আর বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ভাগাভাগি করে ৩-২ রেখেছেন অঙ্কটা। এবার আবার ভোটের লড়াইয়ে নেই বসুন্ধরা। এটা কি বিজেপির স্ট্র্যাটেজি? বসুন্ধরাকে লড়াই থেকে সরানোর পরিকল্পনা কি ফাইনাল? তাহলে বিকল্প কে?
রাজস্থানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে বাবা বালকনাথের নাম। কিন্তু কে এই বালকনাথ। ইনি বিজেপির আলওয়ারের সাংসদ। ২০১৯-এর ভোটে যোগী আদিত্যনাথ তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন। সন্ন্যাসী। মস্তনাথ মঠের মহন্ত বালকনাথ আবার বিজেপির রাজস্থানের সহ সভাপতি। নাথ সম্প্রদায়। রাজস্থানে প্রভাবও আছে। ইতিমধ্যে প্রচারেও নাকি বাবা বালকনাথ নেমেও পড়েছেন। বিজেপির ধারণা, বাবার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আছে। উল্টোদিকে বসুন্ধরার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে নানা মুখরোচক চর্চা আছে। এবারের মহা টক্করে যা কংগ্রেস ব্যবহার করতে পারে। তাই আগাম ব্যবস্থা।
কিন্তু বসুন্ধরা কি অত সহজে ছেড়ে দেবেন? মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরালে তিনি কী শান্তিতে থাকতে দেবেন অন্য কাউকে! প্রার্থী হতে না পারায় পালটা নিজের গোষ্ঠীর অন্তত ৫৬-৫৭জনকে প্রার্থী করার দাবি জানিয়েছেন। তালিকাও গিয়েছে। দাবি পূরণ না হলে বিজেপির কপালে ভোটের পর যথেষ্ট দূর্গতি আছে, তা বলছে বিজেপির অন্দরমহল।