গাজার মানুষকে বাঁচান: আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইজরায়েলকে বার্তা বাইডেনের

0
2

ইজরায়েলে(Israel) হামলার প্রতিঘাতে গাজাকে কার্যত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে ইহুদিরা। ২৪ দিন ধরে চলতে থাকা অসম যুদ্ধে গাজায় মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের। গাজায়(Gaza) এই বেলাগাম হামলায় বিশ্বে সমালোচিত ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আমেরিকা(America) এই যুদ্ধে সরাসরি ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালেও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এবার ইজরায়েলের সমালোচনায় সরব প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden)। রবিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে তিনি জানালেন, আত্মরক্ষা করতে হলেও আমজনতাকে বাঁচিয়েই সেই পদক্ষেপ করা দরকার।

গাজায় ব্যাপক বিমানহানার পাশাপাশি ভূখণ্ডে ঢুকেও অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। ইতিমধ্যেই সেখানে আট হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। গাজাকে মানবিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋষি সুনাক, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মতো একাধিক দেশের প্রধানরা। গাজায় খাবার, ওষুধের মতো নানা সামগ্রীও পাঠাতে শুরু করেছে ভারত-সহ বেশ কিছু দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে বন্ধুরাষ্ট্র ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানেই বাইডেন সাফ বলেন, গাজার সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে। সেই দায়িত্ব নিতে হবে ইজরায়েলকেই। হামাসের হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার ইজরায়েলের অবশ্যই আছে। কিন্তু মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই সেই পদক্ষেপ করতে হবে।

যদিও গাজার উপর প্রাণঘাতী হামলায় কোনও খামতি রাখছে না ইজরায়েল। সম্প্রতি এক ভিডিও প্রকাশ করে ইজরায়েল দাবি করেছে গাজার শিফা হাসপাতালে ঘাঁটি তৈরি করেছে হামাস। আর এই হাসপাতালে হামাস ঘাঁটির খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভ্যান সাফ জানিয়েছেন, ইজরায়েলের উচিত আগে থেকেই গাজার হামাস জঙ্গিদের থেকে সাধারণ মানুষকে আলাদা করে ফেলা।