কলকাতার সব রাস্তায় চলতে পারে না ঠেলাগাড়ি, রিকশা অথবা সাইকেলের মতো গাড়ি। সেই রাস্তাগুলিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই ধরনের গাড়ি আটক করে।কিন্তু তার সংখ্যাটা এতটাই বেশি যে শেষ পর্যন্ত নিলাম করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
মালিকানাহীন এই যানের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।এবার সেগুলি নিলামে তুলছে লালবাজার। দেখা গিয়েছে, ঠেলাগাড়ি, সাইকেল ভ্যান, সাইকেল রিকশাই বেশি সংখ্যায় ধরা পড়ে। কলকাতার একটি বড় অংশে হাতে টানা রিকশা চললেও সেখানে এখনও সাইকেল রিকশা চলা নিষিদ্ধ।
নিয়ম অনুযায়ী, জরিমানা দিয়ে গাড়ির চালক বা মালিককে গাড়ি ছাড়াতে হয়। আবার কোনও গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও তা আটক করা হয়। আদালতের মাধ্যমে সেই গাড়ি পেতে হয়। লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, অনেক সময়ই দেখা যায় যে, গাড়ির মালিক যে কোনও কারণেই হোক গাড়ি ছাড়াতে আসেন না। সেই ক্ষেত্রে প্রথমে থানা চত্বর ও তার পর পুলিশের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ঠাঁই হয় ওই গাড়িগুলির। গত কয়েক মাসে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১১৫২টি ‘হ্যাকনি ক্যারেজ’-এর।
পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে বেআইনিভাবে চলাচলের কারণে পুলিশের হাতে সব থেকে বেশি ধরা পড়েছে ঠেলাগাড়ি। মোট ৩৬০টি ঠেলাগাড়ি রয়েছে পুলিশের হেফাজতে। এর পর দেখা গিয়েছে, পুলিশের কাছে রয়েছে আটক হওয়া ৩৪০টি ফ্ল্যাট ভ্যান, যা ছোট মালবাহী গাড়ি বলে পরিচিত। সঙ্গে রয়েছে ২০০টি সাইকেল ভ্যান ও ১৯৮টি সাইকেল রিকশা। এ ছাড়াও তিনটি হাতগাড়ি, পাঁচটি বেকারি বা কেক-রুটি বহনকারী গাড়ি, ৬টি আখের রসের গাড়ি, দশটি আইসক্রিমের গাড়ি, কুড়িটি মোটর ভ্যান, পাঁচটি মোটর রিকশা, দুটি হাতে টানা রিকশা, দুটি সাইকেল ও একটি টোটো রয়েছে।
পুজোর পরই সেগুলি নিলামে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ৬ নভেম্বরের মধ্যে ইচ্ছুক ক্রেতারা কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়ে গাড়িগুলি দেখে আসতে পারেন। পছন্দও করে নিতে পারেন নিজের পছন্দমতো ‘ফেলে দেওয়া গাড়ি’, যেগুলি ফের কাজে লাগানো যাবে। এর পর ৮ নভেম্বর এই অনলাইনে নিলামে উঠবে এই গাড়িগুলি।