কল্যাণী এইমস নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ডেকে পাঠানো হল কেন্দ্রীয় এই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর রামজি সিংকে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে ভবানী ভবনে এসে সিআইডি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রামজিকে সিআইডির তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। নিয়োগে দুর্নীতির নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করা হয়েছে। সেই চিঠি প্রাপ্তির কথাও স্বীকার করেছেন রামজি। তাঁর বক্তব্য, ভাল কাজ হচ্ছে বলেই চক্রান্ত হচ্ছে!
কল্যাণী এইমসে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থায় চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছর মে মাসে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এক যুবক। প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় তখন মামলা রুজু হয়। তদন্তে উঠে আসে বিজেপির একাধিক সাংসদ-বিধায়ক-নেতার নাম।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য দীপা বিশ্বাস।
অভিযোগ, যোগ্যদের বঞ্চিত করে ঘুরপথে কল্যাণী এইমসে বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের পরিবারের ও ঘনিষ্ঠদের চাকরি দিয়েছেন। বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনুসূয়া ঘোষ এবং নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা এমইসে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ওই মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি নেয়। এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে চার বিজেপি বিধায়ক-সহ আট জনের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যেই তদন্তে নেন বিজেপি বিধায়ক, সাংসদদের একাধিকবার তলব করেছে সিআইডি। বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও হয়েছে। এবার এইমস নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ঘটনার শিকড়ে পৌঁছতে রামজি সিংকে নোটিশ পাঠালো সিআইডি। যদিও তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস না দিয়ে উল্টে হুঁশিয়ারির সুর শোনা যায় এইমস ডিরেক্টরের মুখে।





































































































































