রবিবার দুপুরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক (Priyadarshini Mallick) সল্টলেকের ইডি দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) পৌঁছে গিয়েছিলেন। ইডির (Enforcement Directorate) নির্দেশ মেনে এদিন বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে আসেন তিনি। আর তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সোমবার সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে পৌঁছলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১০ টায় তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি বিভিন্ন নথি-সহ ইডি দফতরে হাজিরা দেন। তবে এদিন সিজিও থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দেবপ্রিয়। তিনি জানান, এদিন একটি চিঠি ইডি দফতরে তিনি জমা দিয়েছেন। আগেও এই চিঠি জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। রবিবার তা নিয়ে সিজিওতে এসেছিলেন মন্ত্রী-কন্যা প্রিয়দর্শিনী। কিন্তু রবিবার ইডিকে চিঠি দেওয়া যায়নি। তাই সোমবার কাজটি করা হল। কিন্তু কী আছে সেই চিঠিতে? প্রশ্ন শুনেই দেবপ্রিয় সটান বলে ওঠেন, সেটা বলতে পারবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আর ইডি। ইডিকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।

দেবপ্রিয় মল্লিক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মনোনীত সদস্য। ২০১২ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য করা হয় জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয়কে। ২০১৮ সালে রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষায় শূন্য পেলেও তা বাড়িয়ে হয় ১৬২ করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। দেবপ্রিয় সেই সময়ে পিএসসির সদস্য ছিলেন। তবে ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে নিজে থেকেই কিছু কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলেন। হতে পারে আইনজীবীর পরামর্শে তিনি তা করেছেন। কিন্তু রবিবার তাঁর থেকে কিছু নেওয়া হয়নি। তবে এদিন দেবপ্রিয় মল্লিক ইডি আধিকারিকদের কাছে চেয়ে পাঠানো কিছু নথি জমা দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান। এদিকে সোমবার ইডি দফতরে গিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়ের আপ্তসহায়ক অমিত দেও। এদিন সকালে নথি নিয়ে সিজিওতে ঢোকেন তিনি। ঢোকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে একটা নথি চেয়েছিল। আমার বাড়ির দলিলের একটা কাগজ দিতে এসেছি।










































































































































