ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) উদ্যোগে লাগানো ফলক নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। কারণ, সেই ফলকে নেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। এই নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্যকে আত্মপ্রচারমূলক এবং অহঙ্কারী বলে ফের কটাক্ষ করেন মমতা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশ্বভারতীর ফলকের এই ভুল শুধরে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। গত মাসেই শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছিল ইউনেস্কো। হেরিটেজ প্রাপ্তির ফলকে নেই কবিগুরুর নাম। আর তা নিয়েই ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) লিখেছেন, “কবিগুরুকে ব্রাত্য রেখে আত্মপ্রচারমূলক, অহংকারী প্রচার চলছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। শান্তিনিকেতনকে সম্মান দিয়েছে ইউনেস্কো।” ফলকে জ্বলজ্বল করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। কিন্তু সেখানে নেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। উপাচার্যের নাম না করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন,”বর্তমানে সেখানকার প্রধান কবিগুরুর অবদান ভুলে নিজের নামের প্রচার চালাচ্ছেন। ওই ফলক সরিয়ে ফেলুন যেখানে কবিগুরুকে অসম্মান করা হয়েছে। সামান্য মানবিকতা দেখান। সম্মান করুন।” পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, এই ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য় পদক্ষেপ করা হোক।
অধ্যাপক সংগঠন, আশ্রমিক থেকে শুরু করে আমজনতা সমাজের সর্বস্তরে থেকে সমালোচনা, শাসকদলেক আন্দোলনের পরও বিতর্কিত ফলক এখনও সরায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য কেন্দ্রের কাছে মমতার আর্জি, এই চরম ভুল শুধরে নেওয়ার জন্য় পদক্ষেপ করুক দিল্লিতে ক্ষমতাসীন সরকার।