১৮৯৭
পল জোসেফ গোয়েবলস
(১৮৯৭-১৯৪৫) এদিন জার্মানিতে জন্ম নেন। ১৯৩৩-১৯৪৫ তিনিই নাৎসি পার্টির প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। হিটলার-ঘনিষ্ঠ এই নেতা ইহুদিনিধন, বিদ্বেষ প্রচার এবং মিথ্যা প্রচারের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন। পরবর্তীকালে নাৎসি শীর্ষনেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের শেষ প্রতিনিধি ব্রুনহিল্ড, যিনি গোয়েবলস-এর সেক্রেটারি ছিলেন, তিনি স্মৃতিচারণায় জানান, গোয়েবলস মিথ্যার স্থপতি হলেও একজন কেতাদুরস্ত ভদ্রলোক ছিলেন। দারুণ সব স্যুট পরতেন। ছিমছাম, চটপটে এই মানুষটি একটু খুঁড়িয়ে হাঁটতেন। এই শারীরিক খামতি ঢাকতেই তিনি খানিকটা উদ্ধতও ছিলেন। ইতিহাস বলছে, মিথ্যে কথা বলাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন গোয়েবলস।
১৯১১ অনাথবন্ধু পাঁজা
(১৯১১–১৯৩৩) এদিন মেদিনীপুরের সবং থানার অন্তর্গত জলবিন্দু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিন বছর বয়সে বাবাকে হারান। টাউন স্কুলে ভর্তি হলেও দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। এরপর বিপ্লবী সংগঠনে যোগ দেন। সেখানে রিভলবার চালনা শেখেন। সেজন্য কলকাতায় যান। শিক্ষা-শেষে কলকাতা থেকে পাঁচটি রিভলবার নিয়ে মেদিনীপুরে ফেরেন। এ-সময় মেদিনীপুরের ম্যাজিস্ট্রেট বার্জ বিপ্লবীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছিলেন। বার্জকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৩-এ পাঁচ বিপ্লবী— অনাথবন্ধু, মৃগেন্দ্রকুমার, নির্মলজীবন, ব্রজকিশোর ও রামকৃষ্ণ মেদিনীপুর খেলার মাঠে হাজির হন। বার্জ গাড়ি থেকে নামামাত্র তাঁকে লক্ষ্য করে অনাথবন্ধু ও মৃগেন্দ্র গুলি চালান। সশস্ত্র রক্ষীদল পাল্টা আক্রমণ চালালে অনাথবন্ধু ঘটনাস্থলেই মারা যান।
১৯৯৮ হারিকেন ঝড় মিচ
এদিন আছড়ে পড়ে। আমেরিকার হন্ডুরাসে। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে উত্থিত ঝড়ের মধ্যে এত মারাত্মক ঝড় আগে কখনও দেখা যায়নি। ঝড়ের অভিঘাতে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় এগারো হাজার মানুষ।
১৯২৯ এদিন ব্ল্যাক টুইসডে নামে খ্যাত
এদিন আমেরিকার শেয়ার বাজার ওয়াল স্ট্রিটে ব্যাপক ধস নামে। পাঁচ দিন আগে ১ কোটি ৩০ লক্ষ শেয়ার বিক্রি হয়েছিল। এদিন আরও ১ কোটি ৬০ লক্ষ শেয়ার বিক্রি হয়। মহামন্দার সিঁদুরে মেঘ দেখে আতঙ্কিত হয়েছিল গোটা বিশ্ব অর্থনীতি। ইতিহাসের পাতায় তাই এই দিনটা ‘কালা মঙ্গলবার’ নামে পরিচিত।
১৯২৩
তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এদিন। মূলত কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে এই দেশে সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়। মুস্তাফা কামাল পাশাই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। এই কামাল পাশাকে নিয়েই কবিতা রচনা করেন কাজী নজরুল ইসলাম। লেখেন, ‘‘কামাল! তু নে কামাল কিয়া ভাই!’’
১৯১০
কালীপ্রসন্ন ঘোষ (১৮৪৩-১৯১০) এদিন প্রয়াত হন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। বাংলা, ইংরেজি, ফারসি ও সংস্কৃতের পাশাপাশি ইতিহাস, মনোবিজ্ঞান, নীতিবিজ্ঞান, থিয়োলজি প্রভৃতি নিয়ে পড়াশোনা করেন। ঢাকা আদালতে দীর্ঘদিন কাজ করার পর ভাওয়ালের রাজার প্রধান কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। বাগ্মিতার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে ইংরেজি ও বাংলায় বক্তৃতা দিতে হত। বঙ্গের পণ্ডিতমণ্ডলী তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধিতে ভূষিত করেন।