রেশন বণ্টন মামলার তদন্তে ইডির (ED) তদন্তকারীদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick) ঘনিষ্ঠদের কমপক্ষে দু’ডজন মোবাইল ফোন এবং প্রায় এক ডজন সংস্থা। ইতিমধ্যে ২৪টি মোবাইল ফোন (Mobile) বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি আধিকারিকরা। মোবাইলগুলি বাজেয়াপ্ত করার পর সেগুলির মাধ্যমে কী বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে, টাকা লেনদেনের বিষয়ে কথা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে ইডি। পাশাপাশি ইডির স্ক্যানারে রয়েছে ১২টি সংস্থাও। এই ২৪টি মোবাইলের মধ্যে যেমন জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠদের নম্বর রয়েছে, পাশাপাশি বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahman) ঘনিষ্ঠদেরও মোবাইলও রয়েছে সেই তালিকায়।
এর আগে আদালতে ইডি জানায়, তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রয়েছে। যেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল থেকে মিলেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনও। রেশন বণ্টন মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত দু’দফায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রথমে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান এবং তাঁর শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। পরে তল্লাশি চালানো হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের ফ্ল্যাট, তাঁর বর্তমান আপ্তসহায়ক অমিত দে এবং প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতেও। পরে বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের জেরা করেই এই দু’ডজন মোবাইল এবং এক ডজন সংস্থার সন্ধান পান তদন্তকারীরা।
এছাড়াও ‘শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে ৩ টি বন্ধ হয়ে যাওয়া কোম্পানিতে নজর ইডির। ইডি সূত্রের দাবি, তিন সংস্থার মারফত ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ১২ কোটি টাকা। ঘটনাচক্রে, প্রত্যেকটি সংস্থাতেই কোনও না কোনও ভাবে বাকিবুরের যোগ রয়েছে বলে খবর।