ভগিনী নিবেদিতা উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন শহরে এদিন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বনাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল। পিতা স্যামুয়েল রিচমন্ডের অকালমৃত্যু সমগ্র পরিবারকে ঠেলে দিয়েছিল দারিদ্র্যের মধ্যে। মার্গারেটের জননী দুই কন্যা ও একপুত্রকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন মাতামহ হ্যামিলটনের সংসারে। ১৮৯৫-তে লন্ডন শহরে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ। ১৮৯৮-তে ভারতে আগমন। ওই বছরই ২৫ মার্চ ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করলে স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর নামকরণ করেন ‘নিবেদিতা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে বলতেন ‘লোকমাতা’। ঋষি অরবিন্দ নাম দিয়েছিলে ‘শিখাময়ী’। মার্গারেট যখন মাতৃগর্ভে, তখনই তাঁর মা ইজাবেল প্রার্থনা করেছিলেন যে, তাঁর সন্তান নিরাপদে ভূমিষ্ঠ হলে ঈশ্বরের কাজেই তাকে উৎসর্গ করবেন। ছোট থেকেই ধর্মজীবন ও মানুষের পাশে থাকার প্রতি তীব্র আকর্ষণ অনুভব করতেন। তাঁর এই সুপ্ত শক্তিকেই জাগিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। নিবেদিতার মহিমা এই শতকের মানুষকেও অবাক করে। তিনি নিতে আসেননি, দিতে এসেছিলেন। তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি শুধু নিবেদন করেই তৃপ্ত থেকেছেন। ভগিনী নিবেদিতা নিজ বৈশিষ্ট্যে ভারতাত্মায় পরিণত হয়েছিলেন।
অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪-২০০২) এদিন প্রয়াত হন। শুধু বাংলা ভাষা নয়, ওড়িয়া ভাষাতেও তিনি সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে ‘পথে প্রবাসে’, ‘অজ্ঞাতবাস’, ‘কলঙ্কবতী’, ‘অসমাপিকা’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পগুলির মধ্যে আছে ‘প্রকৃতির পরিহাস’, ‘মনপবন’ ইত্যাদি। বহুমুখী ভাবানুভূতি তাঁর রচনার বিশেষত্ব। দেশভাগ, দাঙ্গা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তাঁর লেখনী ছিল আজীবন সোচ্চার। প্রেম ও বিবেক, স্বদেশভাবনা, কল্পনা ও যুক্তি, বিজ্ঞানমনস্কতার সমন্বয়ে তাঁর প্রবন্ধগুলো রচিত। আধুনিক বাংলা ছড়ায় যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তার সূত্রপাত করেন অন্নদাশঙ্কর।
যোগীন্দ্রনাথ সরকার(১৮৬৬-১৯৩৭) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক। ছোটদের অক্ষর পরিচয় থেকে সাহিত্যরস পরিবেশনের এক আকর্ষণীয় ও অভিনব কৌশল অবলম্বন করে তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যে পথিকৃতের সম্মান লাভ করেছেন। তাঁর লেখা ছড়া ‘অ-য়ে অজগর আসছে তেড়ে/ আ-য়ে আমটি আমি খাব পেড়ে’ দিয়ে বাঙালির শিশুশিক্ষা শুরু হয়েছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের ধরে।
১৮৮৬ সালে স্ট্যাচু অব লিবার্টি মার্কিন জনগণের উদ্দেশ্যে এদিন নিবেদন করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড। ১৮৮৬ সালে এই নিও ক্ল্যাসিক্যাল ভাস্কর্যটি ফ্রান্স আমেরিকাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিল। নির্মাতা ফ্রেডরিক অগাস্তে বারথোল্ডি।
১৯৫৫ বিল গেটস এদিন গেটস ওয়াশিংটনের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন। প্রকৃত নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস তৃতীয়। একজন আমেরিকান ব্যবসায়িক মহারথী, সফটওয়্যার বিকাশকারী, বিনিয়োগকারী, লেখক এবং সমাজসেবী। তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০-র দশকের মাইক্রো-কম্পিউটার বিপ্লবের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা এবং পথিকৃৎ। ২০০৮-এ তিনি মাইক্রোসফ্ট ছেড়ে জনহিতকর কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
১৯০০ ম্যাক্স মুলার (১৮২৩-১৯০০) এদিন প্রয়াত হন। বিখ্যাত ভারতবিশারদ, দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, সমাজতত্ত্ববিদ, অধ্যাপক, সংস্কৃত ভাষায় সুপ্রসিদ্ধ জার্মান পণ্ডিত ও অনুবাদক। ঠিকানা ৫৭এ পার্ক স্টিট। শহরের ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান গোথে ইনস্টিটিউট ম্যাক্স মুলার ভবন। বহু মানুষই এই ম্যাক্স মুলার ভবন থেকে জার্মান ভাষাশিক্ষার পাঠ নিয়েছেন। যাঁর নামে এই ভবন, সেই ম্যাক্স মুলারের মৃত্যুদিন আজ ।