শুক্রবারই বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ তুলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারের প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল (TMC)। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে মিছিল করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) রাজ্যের বকেয়া দাবি আদায়ের জন্য যে আন্দোলন করছেন, তাতে বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই প্রতিহিংসার কারণে তৃণমূলের নেতা এবং মন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি (ED) এবং সিবিআইকে (CBI) লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে মধ্যমগ্রামে প্রতিবাদ মিছিল করেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। মিছিলের নেতৃত্বে দেন রাজ্যের বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি সাফ জানান, বাংলায় পায়ের মাটি সরে গিয়েছে বিজেপির। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে মিথ্যে মামলা সাজিয়ে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে আন্দোলন করছেন, সেটা থেকে নজর ঘোরাতেই ইডি, সিবিআইকে দিয়ে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিজেপি। এদিন দুপুরে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে স্টেশন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। একইভাবে বারাসত ডাকবাংলো মোড়, হাবড়া গ্রামীণ সহ জেলাজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। প্রতিবাদ মিছিল হয় বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের দশটি ব্লকেও। একদিকে বাসন্তী হাইওয়ে অন্যদিকে হিঙ্গলগঞ্জ ও লেবুখালী রোড প্রতীকী অবরোধ করেন কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত রোডে ইছামতি ব্রিজ থেকে বসিরহাট টাউন হল পর্যন্ত মিছিল চলে।

যদিও এদিন জ্যোতিপ্রিয়ের গ্রেফতারি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি রথীন। মন্ত্রীর কথায়, এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষে কী হয় দেখা যাক। কিন্তু আমাদের বক্তব্য একটাই এই ইডি-সিবিআই হানা তখনই বাড়ছে, যখন অভিষেক রাজ্যের বকেয়া চেয়ে আন্দোলন করছেন। এর প্রতিবাদে আমরা পথে নামলাম।









































































































































