জল জীবন মিশন -এর লক্ষ্য প্রতিটি বাড়িতে কল থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করা। এটি নাকি বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অন্যতম বড় পরিকল্পনার একটি। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগে, সাতনা জেলায় রাজ্যের মন্ত্রী রামখেলাওন প্যাটেল এবং সাংসদ গণেশ সিং তাড়াহুড়ো করে এই জল প্রকল্পের ফিতে কাটেন। প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলেও বাস্তব পরিস্থিতি অত্যন্ত বেহাল। গ্রামের কল থেকে এখনো জলের বদলে হাওয়া বের হচ্ছে।
রাজ্যের মন্ত্রী রামখেলাওন এবং সাংসদ গণেশ সিং যে প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন, সেই প্রকল্প সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে যে এই জল রামনগরের মার্কন্ডেয় ঘাট থেকে রামনগর, মাইহার, অমরপাটন এবং উচেরার প্রায় ১০১৯টি গ্রামে পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মাইহারের সুকওয়ারি গ্রাম এবং রামনগরের সুলাখমান গ্রামে জল সরবরাহের জন্য একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, কিন্তু এখনও এই গ্রামে এক ফোঁটা জলও পাওয়া যায় না। ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে ১ হাজারেরও বেশি গ্রামে জল সরবরাহ করা হবে। যার জন্য প্রতিটি বাড়িতে কল বসানো এবং পাইপলাইন বিছানোর কাজ বছরের পর বছর চললেও এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি।গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে ৭ অক্টোবর এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছিল, এবং সেই দিনই কলে জল দেখা গিয়েছিল। তারপর আর কলে জল দেখা যায়নি। ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেছিলেন যে এদিন থেকে ৩৫টি জলাধারে জল প্রবাহিত হবে, কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে এর উল্টোটা। লক্ষণীয় যে, সরকার প্রতিটি বাড়িতে জল সরবরাহ করার জন্য ট্যাপ ওয়াটার প্রকল্প শুরু করেছিল, যার জন্য মাইহার জেলার অধীনে মার্কন্ডেয় একটি টানেল তৈরি করা হয়েছিল, যেখান থেকে জল সরবরাহের পটভূমি তৈরি করা হয়েছিল। গ্রামের লোকজনের সাঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ট্যাপ ওয়াটার স্কিমের আওতায় গ্রামে পাইপলাইন বিছিয়ে কল বসানো হলেও আজও জল আনতে ২ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। কল ব্যবহার করা হয় গবাদি পশু বেঁধে রাখার জন্য। সরকার সাধুবাদ পাওয়ার জন্য এই ঘোষণা দিলেও আমাদের গ্রামে জল আসছে না।