৩ মিনিটেই শেষ সংসদীয় কমিটির বৈঠক! দ.ণ্ড সংহিতা বিল নিয়ে আপত্তি ইন্ডিয়া জোটের

0
7

ভারতীয় দণ্ড সংহিতা নিয়ে আলোচনা এবং খসড়া রিপোর্ট গ্রহণ করার জন্য শুক্রবারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক মাত্র ৩ মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। এদিন তৃণমূলের তরফে ডিসেন্ট নোট দেওয়া না হলেও কংগ্রেসের দুই সাংসদ, দিগ্বিজয় সিং, অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং ডিএমকের এলানগো ডিসেন্ট নোট দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ইন্ডিয়া জোটের তরফে এদিনের বৈঠকেও জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত আলোচনা না করেই তাড়াহুড়ো করে দণ্ড সংহিতা বিল নিয়ে খসড়া রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

তৃণমূলের তরফে এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। সূত্রের খবর, তৃণমূলের অভিযোগ, ভারতীয় দণ্ড সংহিতা নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে পর্যাপ্ত আলোচনা করা হয়নি। শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হলেও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তৃণমূলের দাবি, ইন্ডিয়া জোটের তরফে যে লিখিত আপত্তি জানানো হয়েছে, সংসদীয় কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্টে তার উল্লেখ করতে হবে। রিপোর্ট তৈরির জন্য কমপক্ষে আরও ৩ মাসের সময় প্রয়োজন বলে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে । রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার তড়িঘড়ি এই আইনটি কার্যকর করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে ইন্ডিয়া শিবির।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বিরোধী শিবিরের দুই সাংদদের কাছে খসড়া রিপোর্টের হিন্দি সংস্করণ পাঠানো হয়। রিপোর্টের খসড়া পাঠানোর পরেই সরকারের তরফে বলা হয়, “সময় কম থাকায়, রিপোর্ট পাঠাতে দেরী হয়েছে। তারজন্য আমরা দুঃখিত।” সরকারের তরফেই বিরোধী সাংসদদের আরও সময় দেওয়ার দাবি তুলতে বলা হয় এবং পরবর্তী বৈঠকের দিন সম্পর্কে মতামত চাওয়া হয়। ৬ নভেম্বর পরবর্তী বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য বাংলায় দুর্গাপুজো, লক্ষীপুজো এবং কার্নিভ্যালের মধ্যে বৈঠক ডাকায় অসন্তুষ্ট বাংলার সাংসদরা। এদিনের বৈঠকে এক সাংসদ বলেন, “সব কিছু ফেলে সাংসদরা কি ৫ মিনিটের বৈঠকে যোগ দিতে আসেন?” ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “বিলটি বাতিল করা হোক। কারণ, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। আলোচনার জন্য আরও অন্তত তিনমাস সময় দেওয়া হোক। ঠাণ্ডা ঘরে বসে এভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।”

আরও পড়ুন- পুজো কার্নিভালে নাচ অর্থমন্ত্রীর! পাখা হাতে বাতাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী