শহর থেকে জেলা সর্বত্র চেনা ভিড়। স্বয়ং দেবী দুর্গাও (Durga Puja)জানেন বঙ্গবাসী এ দৃশ্য তাঁকে উপহার দেবেনই। তাতে ঝড়, বৃষ্টি, মহামারী কোনও কিছুই বাধা হতে পারে না। রাতেই বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। আগামিকাল সকাল থেকে নাগাড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। কিন্তু নবমী নিশিতে এই কথায় কান দিতে নারাজ বাঙালি। “প্রয়োজনে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঠাকুর দেখব” – বলছে আট থেকে আশি। অদ্যই যে শেষ রজনী। তাই সারা বছরের এনার্জি সঞ্চয় করতে হাতে মাত্র বাকি কয়েক ঘণ্টার এই নবমী নিশি।

নবরাত্রির নবম বা শেষ তিথি হল এই নবমী। এদিন দেবী দুর্গা পূজিতা হন সিদ্ধিদাত্রী রূপে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের মরশুমে এই সময়টাকে স্লগ ওভারে ঠাকুর দেখার সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে। সকালে বৃষ্টি হলেও মেঘলা আকাশে ছাতা মাথায় মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়া ভিড়। বলিহারি বাঙালির এনার্জি! ত্রিধারা থেকে ত্রিকোণ পার্ক, সিংহী পার্ক থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, শ্রীভূমি থেকে সুরুচি, নাকতলা থেকে নবীন পল্লি, কাশী বোস লেন থেকে কলেজ স্কোয়ার, বাগবাজার সর্বজনীন থেকে থেকে বালিগঞ্জ কালচারাল – ঘড়ির কাঁটা যত এগোচ্ছে ততই ভিড়ের রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে এদিন দুপুরের পর থেকেই মুখ ভার আকাশের।রাতেও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিকেল থেকেই লোক রাস্তায়। পাল্লা দিয়ে নেমেছে পুলিশ। সারা পুজোর তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আপাতত নির্বিঘ্নেই পুজোর আনন্দ উপভোগ করা গেছে। আজ রাতে শহরে ৮ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছেন। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন ৬ হাজার পুলিশ কর্মী রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে শহরে বসেছে ৫১টি ওয়াচ টাওয়ার। সাধারণ মানুষ এত কিছু দেখতে নারাজ। তাঁদের গন্তব্য শহুরে সুপারহিট পুজো প্যান্ডেল। সেলফি থেকে রিলস সবেতেই শ্রেষ্ঠ হওয়ার দৌড়ে দর্শনার্থীদের সঙ্গে সামিল মৃণ্ময়ী দুর্গাও।



 
 
 
 

































































































































