ডে.ঞ্জার জোনে বিক্রম-প্রজ্ঞান! তারামণ্ডল ঘিরে ফেলেছে চন্দ্রযানের দুই সৈনিককে, তারপর..

0
2

ভারতকে গৌরবের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে যে দুটো নাম, আজ তারাই চরম বিপদে। চাঁদের মাটিতে বিক্রম- প্রজ্ঞানের (Vikram and Praggan) যুগলবন্দিতে গোটা বিশ্বে ভারতের স্থান অনেক উপরে উঠে যায়। কিন্তু মাত্র দু সপ্তাহের আয়ু নিয়ে যাত্রা করেছিল চন্দ্রযান ৩- এর (Chandrayaan 3) দুই নির্ভরযোগ্য সৈনিক। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখন আঁধার, তাই কাজ শেষ হওয়ার পর তাদের পাকাপাকিভাবে শীতঘুমে পাঠিয়ে দিয়েছেন ইসরোর (ISRO ) বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এ কী? হঠাৎ করে নতুন বিপদের মুখে বিক্রম-প্রজ্ঞান (Vikram and Praggan)। রাত গভীর হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে ঘিরে ধরছে তারা। যেন এই দুজনের নিঃশব্দ উপস্থিতিও তারা বরখাস্ত করতে পারছে না। তবে কী চরম পরিণতির মুখোমুখি হতে চলেছে ল্যান্ডার আর রোভার?

 

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা স্বীকার করে নিচ্ছেন, যে চাঁদের মাটিতে বিপদ বাড়ছে বিক্রম-প্রজ্ঞানের। তাঁরা বলছেন যেহেতু চাঁদে পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই তাই মহাজাগতিক রশ্মির (UV Ray) সরাসরি চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে শতাধিক ধূমকেতুকে চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে দেখা গেছে। আর এতেই বিক্রম প্রজ্ঞানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এই রশ্মি যদি সফটওয়্যারকে কোনও ভাবে আঘাত করে, তাহলে এক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে যাবে। সাধারণত তাপমাত্রার ফারাক এবং মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে বিরাট এলাকা জুড়ে ধুলোর ঝড় শুরু হয়। চাঁদে তেমন কিছু শুরু হলে বিপদ আরও বাড়বে বিক্রম-প্রজ্ঞানের।

ধুমকেতু বা মহাজাগতিক রশ্মির এমন উৎপাত যে পৃথিবীতে হয় না, তা নয়। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল আমাদের সেই সবকিছু থেকে রক্ষা করে। এর শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের আবরণের কারণে মহাজাগতিক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাই আমরা। কিন্তু চাঁদে সেই পরিসর নেই। সেখানে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র না থাকায় উল্কা, ধূমকেতু বা মহাজাগতিক রশ্মিরা চাঁদের মাটিতে সরাসরি হামলা চালায়। যা এই মুহূর্তে ঘটছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অধ্যাপকরা মনে করছেন, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা অন্য কোনও মহাজাগতিক রশ্মি চাঁদের মাটিতে সরাসরি আছড়ে পড়ার সময় সূক্ষাতিসূক্ষ ধূলিকণাগুলিকে আঘাত করে। ফলে এগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। এর থেকেই বিক্রম এবং প্রজ্ঞান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।