মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেই জনজোয়ার রাজধানীতে

0
1

মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেই জনজোয়ারের ঢল নেমেছে রাজধানী দিল্লির বুকেও। মানুষের ঠাকুর দেখার উৎসাহে বিকাল থেকেই রীতিমত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে দিল্লির “মিনি কলকাতা” বলে খ্যাত চিত্তরঞ্জন পার্কে ঢোকার প্রতিটি রাস্তা। উৎসবমুখর বাঙালি সন্ধ্যা থেকেই তাই প্যান্ডেল মুখি। দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে ঠাকুর দেখার উৎসাহতে একটুও বিরক্তি নেই।

রাজধানী দিল্লি সহ আশপাশের এলাকা জুড়ে ছোট বড় এবং বাড়ির পূজো মিলিয়ে ৮০০ রও বেশি দুর্গাপুজো হয়।

এবার করোলবাগ পুজো সমিতির দুর্গাপুজো ৮২ বছরে পা দিচ্ছে৷ গতবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে লালকেল্লার আদলে পুজোমণ্ডপ তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই পুজোর উদ্যোক্তারা। এবার করোলবাগের পুজোমণ্ডপ তৈরি হয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর আদলে । চিত্তরঞ্জন কালিবাড়ি প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপনে এবারে দুর্গাপুজোতেও বিশেষ ছাপ রেখেছেন উদ্যোক্তারা । অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন পার্ক দ্যা কোঅপারেটিভ সোসাইটি দুর্গাপুজোর এবার ৪৮ তম বর্ষ। বিহারের মুণ্ডেশ্বরী মন্দিরের আদলে তৈরি মন্ডপ তাদের।থার্মোকলের কারুকাজের অপূর্ব মণ্ডপ। পঞ্চশিবের মূর্তি আছে মন্ডপের ভিতরে মূল মন্দিরের আদলে।

পকেট৪০ নবপল্লী দুর্গোৎসব সমিতির ৩১ তম বর্ষের নিবেদন শক্তিরূপিনী দেবীদুর্গা।লাল রঙের মণ্ডপসজ্জা, মূর্তি তৈরিতে ব্যবহৃত পরিবেশবান্ধব রং, পরিবেশবান্ধব সামগ্রী। এমনকি নারকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি বাসন-কোষন ব্যবহার করা হবে পুজোয়।

এরই পাশাপাশি, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব আর খাওয়াদাওয়া হবেনা, তাই কি হয়। তাই ঠাকুর দেখা আর চিত্তরঞ্জন পার্কের খাসা খানার খাজানা খুঁজে নেওয়া দুইই চলছে সমানতালে। তাই বাঙালিদের দুর্গাপুজোয় যোগ দিয়ে নিজেদের রসনা তৃপ্তিতে মেতেছেন দিল্লির অবাঙালিরাও। চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজোয় এলে মনেই হবে না যে কলকাতার বাইরে আছি। চারপাশে বাঙালির ভিড়, থিম মন্ডপ থেকে শুরু করে মন্ডপের বাইরে মেলা। সেখানে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। এক কথায় ছোট্ট একটা কলকাতা।
দিল্লিতে যেহেতু দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মতো টানা ছুটি পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে শুক্রবারে ষষ্ঠী আর শনি, রবি মিলিয়ে দুটো ছুটির দিন দিল্লির বাঙ্গালিদের এবারের পুজোয় বিশেষ পাওনা। এর সঙ্গে বাড়তি সংযোজন প্রায় সমস্ত পুজো প্রাঙ্গণেই আয়োজন হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পঞ্চমীর দিন থেকে এখানে শুরু হয় আনন্দমেলা। বিভিন্ন পুজো সমিতির সদস্যরা নিজেরা রান্নাবান্না করে স্টল দেন এবং সদস্য অসদস্য নির্বিশেষে টোকেন দিয়ে খেয়ে পেট ও মনের তৃপ্তি করেন।