কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে এই খবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadev Bhatterjee) সন্তান রূপান্তরকামী পুরুষ। নিজেই সেকথা জানিয়েছেন সুচেতন। যিনি আগে ছিলেন সুচেতনা। মঙ্গলবার, শীর্ষ আদালত (Supreme Court) সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেয়নি। এই বিষয়ে কী বলছেন সুচেতন? বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি হতাশ নন, তিনি। বরং একটি রুপোলি রেখা দেখতে পাচ্ছেন এই রায়ের মাধ্যমে।
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সমকামী সম্পর্ককে বৈধ বলে রায় ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তারপর, চলতি বছরের মে মাস থেকে সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে চলছে শুনানি। মঙ্গলবার, রায়দান হয়। প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত ৫ বিচারপতির বেঞ্চে এর শুনানি হয়। সেখানে জানানো হয়, সহবাসে সম্মত হলেও সমলিঙ্গের বিয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হাতেই সিদ্ধান্ত ছাড়ল সুপ্রিম আদালত। যেকোনও সমাজ বা দেশের কোনও ব্যক্তির জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার মধ্যে সেই ব্যক্তি জীবনের দিশা খুঁজে পান। এটা সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু আইনে কোথাও সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতার কথা বলা নেই। সে ক্ষেত্রে সংসদের অধিবেশনেই আইন পরিবর্তন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
এই নিয়ে সুচেতন ভট্টাচার্যের মত, “ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ হিসাবে আমার মনে হয়, এই রায়ে আশার আলো রয়েছে। তবে কিছুটা হতাশাও আছে। একটি সংবেদনশীল আলোচনা হয়েছে, বিশেষ করে ভারতের প্রধান বিচারপতি LGBTQIA+ সম্প্রদায় এবং দৈনন্দিন জীবনে তাঁরা যে সংঘর্ষে মুখোমুখি হন তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এই রায় থেকে এটা স্পষ্ট যে এখনও অনেক পথ যেতে হবে।“
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের এক মাত্র সন্তানের একজন জীবনসঙ্গী আছেন। এই রায়ের পরে সুচেতন বলছিলেন, “আমি আর সুচন্দা বিয়ে করতে চাইছি এমন নয়। কিন্তু বিয়ে করার অধিকারটা আমাদের অন্যদের মতোই থাকা উচিত!“