এক সপ্তাহের বেশি অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও অব্যাহত ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ (Israel Palestine War)। ক্রমাগত আগ্রাসন বাড়াচ্ছে ইজরায়েলের সেনা(Israel Army)। মঙ্গলবার গাজ়ার আল আহলি হাসপাতালে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র। গত দশ দিনের যুদ্ধে গাজ়ায় (Gaza) নিহতের সংখ্যা ৩৭৪৮ ছাড়িয়েছে,জখম প্রায় ১২,০৬৫ । এবার শর্তসাপেক্ষে বন্দি মুক্তির কথা বলে ইজরায়েলের কাছে হামলা থামানোর আর্জি জানাল প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস (Hamas)।
আগ্নেয়াস্ত্র বোঝেনা অনুভূতির কথা, যুদ্ধের নির্মম ক্ষেপণাস্ত্র শিশু বয়স্কদের মধ্যে কোনও ফারাক করে না। দশ দিন ধরে ইজরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। ‘আলোর সন্তানদের সঙ্গে অন্ধকারের সন্তানদের লড়াই। মানবাধিকার বনাম জঙ্গলের আইনের লড়াই’ —গত কাল এমনই এক টুইট করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই পোস্ট করার এক ঘণ্টার মধ্যেই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে আল আহলি হাসপাতালে। ঘটনা নিন্দায় সরব সকলেই। এরপরই ‘গাজ়ায় একটি হাসপাতালের ভিতরে হামাসের সন্ত্রাস-ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বায়ু সেনা’ বলে একটি পোস্ট লিখেও তা ডিলিট করে দেয়া হয়। এই আক্রমণের জন্য ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক হামাসকেই দায়ী করে। বাইডেন সমর্থন করেন ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে।যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জে প্যালেস্টাইনের দূত রিয়াদ মনসুর ক্ষোভ উগরে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনও শোনা যাচ্ছে, হামলার আগে ওই হাসপাতালে হুমকি ফোন এসেছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, হামাসের কাছে কি সত্যিই এত শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে, যা এক নিমেষে গুঁড়িয়ে দিতে পারে একটা গোটা হাসপাতাল? গাজ়ার হাসপাতালে হামলার নিন্দা করলেও পশ্চিমি দেশগুলোর কারও মুখে ইজরায়েলের নাম নেই।এই হামলার পরেই ‘সমঝোতার’ বার্তা দিয়েছে হামাস।